বাংলাদেশ
শ্রমিক অসন্তোষ: ইইউ প্রতিনিধি দলকে যা জানালেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব
‘শ্রমিক আন্দোলনের জন্য সরকার মোটেও দায়ী নয় এবং সব ঘটনাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাধারণ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায় এমন একটি গোষ্ঠী নিরীহ শ্রমিকদের ব্যবহার করছে।মানবাধিকার, শ্রম অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকা সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতকালে তাদেরকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় ইউনিয়েনের এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিস পাওলা পাম্পালোনি।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এবং ইইউ ইন্টারনাল অ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টরেট জেনারেল লরা কোরাডো উপস্থিত ছিলেন। এসময় মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন যাত্রায় ইইউ-এর অসামান্য সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন,‘ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের আসছে সাধারণ নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন করেছেন বলে তাদের জানানো হয়েছে।’
তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া বলেন,‘এখন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে প্যানেল বিচারকদের দ্বারা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার, শ্রম অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সম্প্রতি তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন,‘শ্রমিক আন্দোলনের জন্য মোটেও সরকার দায়ী নয় এবং সব ঘটনাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সাধারণ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায় এমন একটি গোষ্ঠী নিরীহ শ্রমিকদের ব্যবহার করছে।’
প্রসঙ্গত,বাংলাদেশের তৈরিপোশাক শিল্পে শ্রম খাতের উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কতটা অগ্রগতি হয়েছে তা দেখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল রবিবার(১২ নভেম্বর)ঢাকা সফরে এসেছেন। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে পাঁচদিন অবস্থান করবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলের কর্মসূচি প্রকাশ না করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রতিনিধিদলটি শ্রমসচিব, পররাষ্ট্রসচিব ও বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আসছে বুধবার(১৫ নভেম্বর) তিন সচিবের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠকের কথা রয়েছে।এছাড়াও,ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই প্রতিনিধি দলটি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে বলে কূটনৈতিক একাধিক সূত্র বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ