ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার পাঁচটি স্মরণীয় ম্যাচ
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে অতীত ইতিহাস অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে রাখলেও দক্ষিণ আফ্রিকার এবারের আসরের দাপুটে পারফরমেন্স সব হিসেব নিকেশ পাল্টে দিতে পারে।
ক্রিকেটে এই দুই পরাশক্তির মধ্যকার পাঁচটি স্মরণীয় ম্যাচের মুহূর্ত :
এজবাস্টন টাই : ১৭ জুন, ১৯৯৯
বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে সেমিফাইনালে যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত ইতিহাসে অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত হয়। বার্মিংহামের এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ান ম্যাচটি টাই হয়। ২১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ তিন বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল মাত্র এক রানের, হাতে ছিল এক উইকেট। ল্যান্স ক্লুজনার ৩১ রানে ক্রিজে ছিলেন। চতুর্থ বলে ক্লুজনার লং অনে বল পাঠিয়ে এক রান নেবার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে অপর প্রান্তে থাকা এ্যালান ডোনাল্ড রান আউট হয়ে যান। ম্যাচটি টাই হয়।
অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা তখনই মাঠেই উৎসব শুরু করেন। গ্রুপ পর্বে এগিয়ে থাকার কারণে ফাইনাল নিশ্চিত হয় অসিদের। অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ম্যাচটিকে ক্যারিয়ারের অন্যতম উত্তেজনাকর ম্যাচের তকমা দেন।
ওয়াহ স্পেশাল : ১৬ আগস্ট, ২০০০
এজবাস্টান টাইয়েল এক বছর পর স্টিভ ওয়াহ মেলবোর্ন ডকল্যান্ড স্টেডিয়ামে প্রথম ইনডোর ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেছিলেন। প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া মাইকেল বেভানের ১০৬ ও ওয়াহর অপরাজিত ১১৪ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ২৯৫ রান সংগ্রহ করে। ফাস্ট বোলার ইয়ান হার্ভে, শেন লি ও স্পিন লিজেন্ড শেন ওয়ার্নের বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিহা ২০১ রানে গুটিয়ে যায়, অস্ট্রেলিয়া ৯৪ রানের জয় তুলে নেয়।
মাত্র ১২ ওয়ানডে ম্যাচ মাল্টি-স্পোর্ট ডকল্যান্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মাঠটি বিগ ব্যাশ লিগের দল মেলবোর্ন রেনেগেডসের হোম গ্রাউন্ড।
গিবস মহাকাব্য : ১২ মার্চ, ২০০৬
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার হার্শেল গিবস ১১১ বলে ১৭৫ রানে অভাবনীয় এক ইনিংস খেলে রেকর্ড বইয়ে স্থান করে নিয়েছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে জোহানেসবার্গের এই ম্যাচে ৯৯.৫ ওভারে ক্রিকেট বিশ্ব ৮৭২ রানের মহাকাব্যিক এক ম্যাচ উপভোগ করেছে।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের নির্ধারনী পঞ্চম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান সংগ্রহ করে। অধিনায়ক রিকি পরিন্টং ১০৫ বলে ১৬৪ রান করেছিলেন। জবাবে ওপেনিং পার্টনারশীপে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের ৯০ রানে ১৮৭ রান সংগ্রহ করে। ৩২তম ওভারে গিবস সাজঘরের পথ দেখেন। ঐ সময় প্রোটিয়ারা ৪ উইকেটে ২৯৯ রান সংগ্রহ করেছিল। মার্ক বাউচার ৫০ রানে অপরাজিত থেকে এক বল হাতে রেখে নাটকীয় এক জয় পায়।
কার্যত এই ম্যাচের পর থেকেই ওয়ানডেতে দলীয় রান নিয়ে আর কোন সীমানার কথা কেউ মনে রাখেনি। এরপর থেকেই একের পর এক বড় ইনিংসের ম্যাচ দেখেছে ক্রিকেট ভক্তরা।
অস্ট্রেলিয়ার দাপট : ২৫ এপ্রিল, ২০০৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট লুসিয়ায় বিশ^কাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ‘চোকার্স’ উপাধি আরো একবার প্রমান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ঐ আসরে দারুন ক্রিকেট খেলছিল। সেমির পথে তারা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে।
প্রথমে ব্যাটিং করে প্রোটিয়াদের ইনিংস ১৪৯ রানে শেষ হয়। অস্ট্রেলিয়ান দুই পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শন টেইট মিলে দুর্দান্ত বোলিং করে ৭ উইকেট তুলে নেন। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাকগ্রা ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিল। ম্যাথু হেইডন (৪১) ও মাইকেল ক্লার্ক (৬০*) এর ব্যাটিংয়ে ১১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
চেজ-মাস্টার মিলার : ৫ অক্টোবর ২০১৬
ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও চার বল হাতে রেখে ডেভিড মিলারের অপরাজিত ১১৮ রানে ভর করে ৩৭২ রানের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার মিলার আন্দিলে ফেলুকুয়াওর সাথে ১০৭ রানেল অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে জয় উপহার দেন। অস্ট্রেলিয়ান বোলার এ্যাডাম জাম্পা ও মিচেল মার্শকে পাত্তাই দেননি মিলার।
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//