রাজশাহী
রাজশাহীতে একমাসে বিএনপির ১২৭২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে একমাসে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর ১২৭২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। শনিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, ‘গেলো ২৬ অক্টোবর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২৯টি মামলায় ৫৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর রাজশাহী জেলার ৯ থানায় ১১টি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭১৮ জনকে। এই ১২৭২ নেতাকর্মী এখন কারাগারে রয়েছেন।’
শনিবার আরও শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে মিনু বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন সংস্থা হরতাল-অবরোধের মধ্যে গাড়ি পোড়াচ্ছে। আর পুলিশ মামলা করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তাদের বাড়িতে না পেলে স্ত্রী বা পরিবারের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে পুরে আবারও একটি একতরফা নির্বাচন করতে চায়। এভাবে ২০১৪ সালে ভোট করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ ভোট দিতে যায়নি। ভোটকেন্দ্রে জন্তু-জানোয়ার বিচরণ করেছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে সারা বিশ্বের কাছে দেশকে অপমানের দেশ হিসেবে সরকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবারও ৭ জানুয়ারির ভোট দেশের মানুষ দিতে যাবে না। যে ভোটে দেশের মানুষ অংশ নেয় না, সেই ভোট ভোট না। এ রকম নির্বাচন পৃথিবীর কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।’
নগরীর মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগরের সভাপতি এরশাদ আলী ঈসাসহ বিএনপিমনা আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ