রাজশাহী
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন ওসি
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী ,এনায়েতপুর ) আসনে নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শুরু করেছে এনায়েতপুর থানা পুলিশ।
এ সব কেন্দ্র পরিদর্শনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডল এমপির সহযোগী থানা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানার স্থল ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে যান ওসি পঞ্চানন্দ সরকার।
এ সময় ওসির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর তদন্ত শাহিনুর সিদ্দিকী সহকারী উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা ছাড়াও এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক ব্যাপারী, সহ-দপ্তর সম্পাদক শাহাদত হোসেন মোল্লা, স্থল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম মাইকেল।
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় ওসির সঙ্গে যাওয়া আওয়ামী লীগের ওই নেতা-কর্মীরা আসন্ন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মমিন মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে স্থানীয়দের দাবি। নেতাদের সঙ্গে নিয়ে স্থলচর বড় চৌহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়রাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চালুহারা ইবতেদায়ী মাদরাসা, স্থল নওহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থলচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন ওসি।
এদিকে, নৌকা সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের ঘটনায় এলাকায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এবার নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।তবে এটি পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণ বলেও দাবি করছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে চৌহালী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সভাপতি হাজী আব্দুল আলীম জানান, প্রশাসন এখন নির্বাচন কমিশনের অধীন। নির্বাচনকালীন সময় তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পূর্ণের স্বার্থে নিরপেক্ষ থাকবে। অথচ এনায়েতপুর থানার ওসি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সহযোগীদের নিয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। এটা পক্ষপাতমূলক আচরণের অংশ।
এনায়েতপুর থানার ওসি পঞ্চনন্দ সরকার জানান, দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ার কারণে ওইসব ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।আর আমি সব গুলো ভোট কেন্দ্র চিনি না যার কারণে তারা সহযোগিতা করেছে। যদিও আমার বোঝার ভুল ছিলো।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ