আইন-বিচার
জোবায়দাকে নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য আদালত অবমাননা : দুদক আইনজীবী
ডা. জোবায়দা রহমানের মামলার রায় নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। বললেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এসব কথা বলেন।
গতকাল ১৫ এপ্রিল এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, অতি সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান যিনি রাজনীতির সঙ্গে কখনই সম্পৃক্ত ছিলেন না, তার বিরুদ্ধেও দুদক একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এমনকি মামলার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এটি অত্যন্ত বেআইনি কাজ। আমরা মনে করি এতে শুধু বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্য নিয়ে শনিবার দুদকের আইনজীবী বলেন, না জেনে না বুঝে সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে, যেকোনো আদালতের রায় সম্পর্কে মন্তব্য করা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আর সে কাজটি করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দুদকের এ আইনজীবী আরও বলেন, গত ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগের শুনানিতে ওনাদের পক্ষে দীর্ঘ শুনানি করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী)। দুদকের পক্ষে আমি বিস্তারিত আর্গুমেন্ট করি। এটি ১৩ এপ্রিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। যা মামলার গুনাগুণের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হয়েছে। এ ধরনের রায় নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা চরম আদালত অবমাননার শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতির মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ