অপরাধ
শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে গেলেন শিক্ষক, ৬ দিন পর উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে অপহৃত দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইকবাল অপহরণ করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এ ঘটনায় শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম র্যাব-৭ এর মিডিয়া বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে গণিত শিক্ষক ইকবাল তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। বিষয়টি নিজ পরিবারকে জানালে স্কুলছাত্রীর বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, গত ২৮ নভেম্বর সকালে স্কুলছাত্রী তাদের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইকবাল তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রোববার (৩ ডিসেম্বর) কসবা থানায় অপহরণ মামলার পাশাপাশি র্যাবকে লিখিতভাবে অবহিত করে স্কুলছাত্রীর পরিবার।
নুরুল আবছার আরও বলেন, র্যাবের একটি আভিযানিক দল খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ইকবাল চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে রোববার পতেঙ্গা থানার কাটগড় এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় অপহৃত স্কুলছাত্রীকে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন গণমাধ্যমে জানান, স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে উদ্ধারের বিষয়ে আমাদেরকে জানানো হয়েছে।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ