অপরাধ
ট্যুর প্যাকেজের নামে কোটি টাকা প্রতারণা!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে দেয়া হয় মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের নানা লোভনীয় অফার। অল্প টাকায় বিদেশ ভ্রমণের এই অফার সহজেই লুফে নেন অনেকে। তবে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছ থেকে টাকা নিলেও ওই ট্যুরের আয়োজন আর হয় না। টাকাও আর ফেরত পান না প্রতারণার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা। তবে প্রতারক চক্র তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা।
মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর)সংবাদ সম্মেলনে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-প্রতারক চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু, তার আপন মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত অ্যাডমিন মো. আমিনুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী একজনের দাবি,এই প্রতারক চক্রটি এমনভাবে সবকিছু পরিচালনা করে তাতে শিক্ষিত লোকরাও প্রতারণার বিষয়টি টের পায় না। তবে কিছু দিনের মধ্যেই বুঝতে পারেন কীভাবে তারা প্রতারিত হলেন? প্রতারণা কাকে বলে ও কত প্রকার?
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান প্রতারক চক্রের প্রতারণার কৌশল তুলে ধরে বলেন, ‘রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত একটি ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দেয়। পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এ জন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমনকি টাকা চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’ এর মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেন। একপর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সব নম্বর বন্ধ করে দেয় তারা।
প্রতারক চক্রটি অল্প দামে ট্যুর প্যাকেজ বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। গত এক বছরে চক্রের হাতে দুই শতাধিক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ