রংপুর
পঞ্চগড় সীমান্তে বিজয় দিবস উদ্যাপন করলো বিজিবি-বিএসএফ
মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ও ভারতের ১৭৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের অধীন ফুলবাড়ী আইসিপি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এ প্যারেডের আয়োজন করা হয়।
এসময় মনোমুগ্ধকর এই প্যারেড দেখতে উভয় দেশের নাগরিকেরা জিরো পয়েন্টে উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিথিদের উপস্থিতিতে ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধনের অংশ হিসেবে বিজিবি-বিএসএফ চমকপ্রদ ও মনোমুগ্ধকর প্যারেড প্রদর্শন করেন।
এর আগে বিজিবি পায়রা উড়িয়ে ও বেলুন উড়িয়ে প্যারেড অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। পরে প্যারেড শেষে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী একে অপরের মাঝে শুভেচ্ছা বিনিময় করে বিশেষ স্মারকচিহ্ন বিতরণ করা হয়। পরে প্যারেড শেষে উত্তরপশ্চিম রিজিয়নের কমান্ডার ও বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিজেন্টের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ উত্তর পশ্চিম রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, বিএসএফের মহাপরিচালক নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মার, ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টার ডিআইজি শ্রী সুশীল কুমার, বিজিবির ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এইচ হাফিজুর রহমান, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল যুবায়েদ হাসান ও বিএসএফের শ্রী পিকে সিং, ডিআইজি শিলিগুড়ী সেক্টরসহ বিজিবি-বিএসএফের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, অন্যান্য সামরিক ও স্থানীয় বেসামরিক কর্মকর্তা। এছাড়াও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, ,পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
প্যারেড শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্য রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের বন্ধুত্বের একটি লক্ষণ এটা। সীমান্তে আমাদের দুই বাহিনী চমৎকার ভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ১৯৭১ সালে আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ভারত আমাদের যেভাবে সাহায্য সহায়তা করেছিল, এখনো আমাদের মাঝে যে সম্পর্ক বিরাজমান তার কারণে সীমান্তের যেকোনো সমস্যা আমরা সুন্দরভাবে সমাধান করতে পারছি। তাই আমরা দুই বাহিনী একত্রিত হয়ে বিজয়ের ৫২ বছর উদ্যাপন করছি।
একই সময় ভারতের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফের মহাপরিচালক শ্রী সুরিয়া কান্ত শর্মার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত পরম বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের মাঝে যে বন্ধুপ্রতীম ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছিলো সেই ভ্রাতৃত্ববোধ সম্প্রসারণের পাশাপাশি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য বাড়ানোর অংশ হিসেবে এ ‘রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়। এ ধরনের অনুষ্ঠান দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। দু’দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিবে। এ জন্য এই স্মরণীয় দিনটিকে আরও গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নিদর্শন যৌথ রিট্রিট প্যারেডের আয়োজনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/