আইন-বিচার
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে এ কে আজাদ
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করতে চেম্বার আদালতে ফের আবেদন করেছেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এ কে আজাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গেলো মঙ্গলবার শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন আদালত।
শামীম হকের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
তার আগে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তার রিট খারিজ করে বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি।
এর আগে গেলো ১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে এই রায় দেয় ইসি। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শামীম হক।
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম (এ কে) আজাদ। তার আপিল মঞ্জুর করা করায় শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল হয়।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক—এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ৮ ডিসেম্বর আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া ইসিতে আপিল আবেদন জমা দেন।
অন্যদিকে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শামীম হকের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে ইসি। ফলে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ কে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকছে। শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য।
এদিকে সোমবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক পেয়েই প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ