জাতীয়
প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা জানতে চেয়েছেন তরুণরা
চেঞ্জমেকার, ইনফ্লুয়েন্সার, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশ গঠনে কাজ করে যাওয়া তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলেন।
এ সময় তরুণ প্রজন্মের এই প্রতিনিধিরা তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে। সিআরআই জানিয়েছে, অনুষ্ঠানটি আগামী ২৮ ডিসেম্বর সম্প্রচার করা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বকারী মনীষা মীম নিপুণ জানতে চান, কীভাবে আমরা আমাদের সমাজকে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের প্রয়োজনগুলোর প্রতি আরও সহানুভূতিশীল করতে পারি? এ সময় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি তৃতীয় লিঙ্গের এক অ্যাক্টিভিস্টের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠান বাতিল করার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনদের ওপর চলমান গণহত্যায় ইসরাইলিদের সমর্থন দিচ্ছে। এটি তাদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কিনা তা জানতে চান দেশ গঠনে তরুণদের সংগঠন নিয়ে কাজ করে যাওয়া শাহরিয়ার বাবলা।
নারীর প্রতি হয়রানি বন্ধে সুস্পষ্ট আইন কবে হবে তা জানতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অরিত্রি রায় প্রিয়তা। গণমাধ্যমে কাজ করা তরুণী এ আর তাহসীন জাহান জানতে চান, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে সরকারের তরফ থেকে ডে কেয়ার সেন্টার করা হবে কিনা?
ভালো কাজের হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং তরুণ সংগঠক আরিফুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সরকারি প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দিনে একটি ভালো কাজের বিষয় উৎসাহ প্রদান বা বাধ্যতামূলক করা সম্ভব কিনা? এর ব্যাখ্যা হিসেবে তিনি বলেন, একটি ভালো কাজ করতে উৎসাহিত বা বাধ্য হলে তা আরও অনেক খারাপ কাজ থেকে এমনিতেই মানুষকে বিরত রাখে।
সামাজিক কার্যক্রমের ইনফ্লুয়েন্সার তাশরীফ খান জানতে চান দেশের পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়ন নিয়ে কী ভাবনা আছে প্রধানমন্ত্রীর। সামনে নতুন কিছু দেখতে পাবো কিনা, এটি জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
দুর্যোগ প্রবণ দেশগুলোতে ক্ষতিপূরণ প্রদানে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসির বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরিবেশকর্মী শামীম মৃধা। তিনি জানতে চান, কপ২৮ আয়োজন হয়ে গেলো। কিন্তু এখনও উন্নত দেশগুলো দুর্যোগ প্রবণ দেশগুলোর জন্য ফান্ড নিশ্চিত করেনি। এমন অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কী ভাবছেন এবং এর বিকল্প কী ব্যবস্থা রয়েছে বাংলাদেশের?
বাংলাদেশ হুইলচেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নূর নাহিয়ান জানতে চান, শারীরিকভাবে বিশেষ-সক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য এই ধরনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বাড়ানোর জন্য সরকারের পরিকল্পনা কী?
অবশ্য শুধু নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে প্রশ্ন নয়, তরুণরা তাদের আগ্রহ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগত বেশকিছু প্রশ্নও করেন। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসে কনটেন্ট তৈরি করা মারিয়ার কাছে বেশ আকর্ষণীয় গ্রামের জীবনযাপন। প্রধানমন্ত্রী গ্রামে গিয়ে থাকতে চান কিনা এবং গ্রামীণ জীবনযাপন তার কাছে কেমন লাগে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। ফুড ব্লগার রাফসান প্রধানমন্ত্রীর সেরা রান্না কোনটি সে বিষয়ে জানতে চান।
আরও জানতে চান, বাহিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর খেতে ইচ্ছে করে কিনা? বাহিরে খাবার খাওয়ার সুযোগ আছে কিনা তার?
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনতেন এবং কেনো এই পরিবর্তনগুলো আনা জরুরি সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজেদের মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন উপস্থিত তরুণরা। তাদের এই মতামতগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এখান উপস্থিত তরুণরাই সামনে প্রধানমন্ত্রী হবার মতো যোগ্যতা রাখেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের এই আয়োজনটি আগামী সপ্তাহে সরাসরি ব্রডকাস্ট করা হবে বলে জানান আয়োজকরা। সেখানেই জানা যাবে তরুণদের এ সকল প্রশ্নের উত্তরে কি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জানা যাবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার অনেক অজানা বিষয়ক তথ্য।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ