অন্যান্য
১৯তম বর্ষে পদার্পণ করল আরটিভি
‘আজ এবং আগামী’র স্লোগান নিয়ে ২০০৫ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেশের পঞ্চম বেসরকারি টেলিভিশন হিসেবে যাত্রা করে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। সেই হিসেবে ১৮ বছর অতিক্রম করে ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করল গণমানুষের এ চ্যানেলটি।
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় আরটিভি দর্শক-শ্রোতাদের ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিয়ে সংবাদ ও অনুষ্ঠানকে সাজিয়েছে। বিপরীতে পেয়েছে দর্শকদের ভালোবাসা।
সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যয়ে, দর্শকদের নানান প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টায় প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে চলেছে চ্যানেলটি। নতুন নতুন অনুষ্ঠান, নাটক, টকশো, রিয়েলিটি শো, অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান আর ভিন্নধারার সংবাদ দিয়ে কয়েক বছরে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে আরটিভি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এমন আনন্দের দিনে শুভেচ্ছা জানান দেশের বিভিন্ন স্তরের শিল্পী, সংস্কৃতিজন, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও খ্যাতিমানরা। আরটিভির ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান অনেকে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল কলাকুশলী, দর্শক ও বিজ্ঞাপন দাতাসহ সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে আরটিভি কর্তৃপক্ষ। আরটিভির এই দীর্ঘ পথচলায় সঙ্গী হওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘গোলটেবিল’, ‘কেমন বাংলাদেশ চাই, ‘আজ পত্রিকায়’ এর মতো জনপ্রিয় টকশো ছাড়াও ‘স্টার অ্যাওয়ার্ড’, ‘আলোকিত নারী পদক’, ‘আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরণা পদক’-এর মতো অনুষ্ঠান আরটিভিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
চ্যানেলটিতে নতুন অনুষ্ঠানমালায় যুক্ত হয়েছে ‘ড্যানিশ আরটিভি ইয়াং স্টার’, ‘ফোক স্টেশন’। ইসলামিক ট্যালেন্ট হান্ট খুঁজে নেওয়ার প্ল্যাটফর্মও করেছে চ্যানেলটি। এছাড়া জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘গর্বিত বাবা’ অনুষ্ঠানটিও।
এ ছাড়াও অটিজমবিষয়ক অনুষ্ঠান- হাত বাড়িয়ে দিলাম, ফ্যাশন ও লাইফস্টাইলবিষয়ক অনুষ্ঠান লুকমিসহ আরও নানান অনুষ্ঠান দিয়ে বছরজুড়েই আলোচনায় পরিপূর্ণ ছিল আরটিভি। ঈদসহ ভিন্ন ধর্মের ও বিভিন্ন বিশেষ দিনকে ঘিরে প্রচার করা হয় জনপ্রিয় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ নাটক ও অনুষ্ঠানমালা।
মানুষের গান চর্চার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে আরটিভি আয়োজন করে ‘বেঙ্গল সিমেন্ট বাংলার গায়ে’ নামে নতুন রিয়েলিটি শো, যা ইতোমধ্যেই দর্শক নন্দিত ও গানের জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া কোটি কোটি পাঠকের খবরের চাহিদা মেটাচ্ছে আরটিভি অনলাইন। নিত্যনতুন প্রত্যয়ে ঝলমলে আগামীর জন্য আজকের হয়ে যুগ যুগ জেগে থাকবে আরটিভি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আরটিভি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান বলেন, এমন মাহেন্দ্রক্ষণে আমি দেশ-বিদেশের সব দর্শক, কলাকুশলী, বিজ্ঞাপনদাতা ও কেবল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ১৮ বছর অতিক্রম করে ১৯ বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছি।
দর্শকদের পছন্দ ও রুচির প্রতি আরটিভি সবসময়ই দায়বদ্ধ ও যত্মশীল। পাশাপাশি জনসচেতনতা ও সুস্থ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি এবং সত্য তথ্যের নির্মোহ প্রবাহ নিশ্চিতে আরটিভি একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা ও নানান বয়সী দর্শকদের চাহিদা বিবেচনায় রেখে আরটিভি বহুমাত্রিক অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করে আসছে। বহুমাত্রিকতা, অভিনবত্ব, তারুণ্য এবং সৃজনশীলতা আরটিভির প্রাণশক্তি। দিনব্যাপী সংবাদ পরিবেশনার পাশাপাশি নিত্য নতুন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান, ভিন্ন স্বাদের নাটক, সমকালীন ইস্যু নিয়ে টকশো সম্প্রচার করছে আরটিভি।
সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবীদের জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি স্বদেশী শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা বছরব্যাপী দেশে এবং বিদেশে নিয়মিত বিভিন্ন রিয়্যালিটি শোর আয়োজন করছি। নিরবে-নিভৃতে যারা সমাজ পরির্তনে বড় অবদান রাখছেন, যারা দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন আরটিভি তাদের স্বীকৃতি প্রদানে সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে।
আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ডিজিটাল সোশ্যাল মিডিয়াতেও আরটিভি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আরটিভির ফেসবুক পেজ, আরটিভি ইউটিউব চ্যানেল, আরটিভি ড্রামা ইউটিউব, আরটিভি মিউজিক ইউটিউব এবং আরটিভি অনলাইনের শীর্ষত্ব আপনাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। নাটকে আমরা সবসময় নতুনত্বকে প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছি। নিখাঁদ বিনোদনের জন্য সিনেমা, নাটক, ওয়েবফিল্ম নির্মাণের পাশাপাশি জনসচেতনতায় আরটিভি অবিরাম বহুমুখী অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও নির্মাণ করে চলেছে। বিভিন্ন দিবস ও উৎসবে আরটিভি বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে। যা আরটিভিকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।
দর্শকদের মনন ও পছন্দ অনুযায়ী অনুষ্ঠান সম্প্রচারে আরটিভির এই নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নতুন বছরেও একাধিক চমৎকার আয়োজন নিয়ে আমরা হাজির হবো আপনাদের সামনে। আমি বিশ্বাস করি, সামনের দিনগুলোতেও আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আরটিভির ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আমি আবারো সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ধন্যবাদ।
জাতীয়
শুক্র ও শনিবার ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলো গ্রামীণফোন
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অন্যতম সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। এবার রিচার্জ কিংবা প্যাকেজ কেনা ছাড়াই ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ফ্রি। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
<iframe src=”https://www.facebook.com/plugins/post.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FGrameenphone%2Fposts%2Fpfbid02uyp6SmgzkTtERBvh73dhLiU6quBf3nrfukCRDGFyYJsnBZyKDf8h62mPBNDRs9Y6l&show_text=true&width=500″ width=”500″ height=”654″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share”></iframe>
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডেটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো– গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক।
জেডএস/
ক্যাম্পাস
খুলছে জবি, প্রাথমিকভাবে ক্লাস চলবে অনলাইনে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)১৮ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে।আজকেই ছাত্রীদের জন্য বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হল খুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
জানা যায়, ১৮ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস চলবে। অনলাইন ক্লাস শুরুর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ছাত্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ আলোচনায় বসবেন।
এক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,তারা ক্যাম্পাসে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হলে ক্যাম্পাসে এমনিই ছাত্র রাজনীতি থাকবে না বলে তার মনে হচ্ছে, তবে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে সেটা নতুন সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রসঙ্গত, সিন্ডিকেট সভায় আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচসহ তাদের খোঁজ নেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আই/এ
শিক্ষা
চুয়েটে নিষিদ্ধ হলো ছাত্ররাজনীতি
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি।
বুধবার (০৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৩৬তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ১৩৬/১(ঘ) অনুযায়ী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ করা হলো। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় বিধান অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সে দাবি আরও জোরালো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চুয়েট।
এসি//