আওয়ামী লীগ
দেশের মর্যাদা বাড়াবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে। দেশের মর্যাদা বাড়াবে। নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ অটল ও অবিচল। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যপারে আমরা অবিচল, অটল। আমাদের ওপর নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব। গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব। মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার আদর্শ রক্ষার দায়িত্ব। এই দায়িত্ব আওয়ামী লীগকে পালন করতেই হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে জনগণ যেন ভোট দিতে না যায় সেজন্য বিএনপি ও তার দোসররা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন থেকে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। ৭ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে তা থেকে পিছিয়ে আসার সুযোগ নাই। যা কিছুই তারা করুক সন্ত্রাস, আগুন।
বিএনপির কর্মসূচির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। যত সন্ত্রাস তার করতে যাক। খুবই রহস্যময় কিছু প্রোগ্রাম, আমরা অবাক হচ্ছি ৪ তারিখ তারা লিফলেট বিতরণ করছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা গুপ্তহত্যা, চোরাগোপ্তা হামলার দিকে ভয়ঙ্করভাবে ঝুঁকে পড়তে পারে। সেজন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নীরবতা দেখানো হলেও সশস্ত্র হয়ে উঠবে এমন খবর আমরা পাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপিকে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ আছে। ২০১৩ শুরু করে ১৪, ১৮ নির্বাচন। এই নির্বাচনে তাদের যে ভূমিকা যেভাবে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে সারা বাংলাদেশজুড়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর, রাস্তা কেটে ফেলা, রাস্তায় আগুন দেওয়া, ৫ শর বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা। এবারও তারা ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। কারণ তারা জানে আন্দোলনে তারা সফল হয়নি, নির্বাচনেও হেরে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আমরা আগের চেয়েও বেশি প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতি আগের চেয়ে বেশি। পরিকল্পনা, প্রস্তুত সব কিছুই সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। নির্বাচন যাতে জনগণের অংশগ্রহণমূলক হয়, সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত। আমি এক কথায় বলব, সন্তোষজনক।
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/