রংপুর
বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে বিশ্বাসী: রেলমন্ত্রী
বিএনপি- জামায়াতের অগ্নিসংযোগ কাণ্ডে বিশ্বাসী আর আওয়ামী লীগ সরকার দেশ উন্নয়নে বিশ্বাসী। বললেন পঞ্চগড়-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। একই সময় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার পক্ষে ভোট চেয়েছেন তিনি।
সোমবার (১ জানুয়ারি) রাতে পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা শহরের শেরে বাংলা পার্ক মুক্তমঞ্চে এক নির্বাচনী পথসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াত গেলো ১৫ বছর আগে কিছু করতে পারে নাই। ধোকাবাজির রাজনীতি করে দল করা যায় না। এই নির্বাচন কোন স্থানীয় নির্বাচন না। এই নির্বাচন ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর সভা, জেলা পরিষদ বা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন না। এই নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এই নির্বাচন দেশের গনতন্ত্রের নির্বাচন। একটি লিফলেট নিয়ে বলে বেড়াচ্ছেন যে সরকারকে সহযোগীতা করবেন না, ভোট দিতে যাবেন না, এই হচ্ছে বিএনপির কাজ তারা ভোটে বাধা প্রদান করছে। দেশের মালিক জনগণ,সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ,জনগণের ভোটে ও অংশ গ্রহনে দেশে সুষ্টু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, গেলো ১৫ বছরে পঞ্চগড়-২ আসন থেকে আমি পরপর তিনবার নির্বাচিত হয়েছি। একই সাথে সংসদে পঞ্চগড়-২ আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করছি। গেলো নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে রেলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগের তুলনায় রেলমন্ত্রণালয়কে একটু হলেও ভালো করার চেষ্টা করেছি। ১৫ বছর আগের কথা চিন্তা করে দেখেন তো? আমরা কেমন ছিলাম। আজকে যারা নির্বাচনের বিরোধীতা করছে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলো তখন পঞ্চগড়ের স্পিকার ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। তখন কি ধরণের উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কি উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে দেশটাকে কিভাবে গড়ে তুলছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশকে পরিচালনা করেছি। আমাদের লক্ষ আছে আগামী ৩০ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত করতে চাই। আগামী ৪১ সালের মধ্যে এই বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় গড়তে চাই তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন। এবার আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে একধাপ এগিয়ে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা দারিদ্রতাকে অনেক খানি জয় করেছি।
রেলমন্ত্রী তার বক্তব্যে পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী নাঈমুজ্জামান ভুইয়া মুক্ত কে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দোগ্যে এই পঞ্চগড় শহরে সমতলের চা শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু কিছু মানুষ সিন্ডিকেট করে চা চাষীদের তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে। আমার বিশ্বাস পরিবেশকে ঠিক রেখে মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা ঠিক রেখে আগামী দিনে এই নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তার নেতৃত্বে একটি ভালো নেতৃত্ব পাবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো পঞ্চগড়-১ ও পঞ্চগড়-২ আসনে নৌকা উপহার দিতে আহব্বান জানান তিনি।
জাতীয়
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে কাউন্সিলরসহ নিহত ৫
রংপুরে অসহযোগ আন্দোলনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে রংপুর নগরীতে সংঘর্ষ চলাকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত হারাধন রায় হারা রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি। নিহতের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন রসিক কাউন্সিলর শাহাজাদা আরমান শাহাজাদা।
নিহত অন্য চারজন হলেন নগরীর গুড়াতিপাড়ার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খরশু মিয়া, যুবলীগ নেতা মাসুম, হারাধন রায়ের ভাগ্নে এবং অপরজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জানা যায়, সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে রংপুর মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ অবস্থান নেন নগরীর টাউনহল চত্বরে। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পরে জাহাজ কোম্পানি মোড় থেকে পায়রা চত্বরে পুনরায় অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করতে গিয়ে আটকে পড়েন পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে পায়রা চত্বর থেকে পালিয়ে কালিবাড়ি মন্দিরে প্রবেশ করার সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন হারাধন রায় হারা। সেখানেই এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত হলেও পুনরায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন তারা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনা জানার পর হারাধনের মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশনের সামনে অবস্থান করা এনটিভির ক্যামেরাপারসন আরমান, চ্যানেল টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল শাহীন, নিউজ টোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার রেজাউল ইসলাম মানিক, একুশে টিভির ক্যামেরাম্যান আলী হায়দার রনি, ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক রাশেদ রাব্বি, অনলাইনের মিজানসহ ১০ জন গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রংপুর-২ (বদরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আগুন, গংগাচড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন, মিঠাপুকুর উপজেলার পরিষদ চত্বরে ইউএনও অফিস, বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম, আনসার ভিডিপিসহ বিভিন্ন দফতরে ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এএম/
দেশজুড়ে
রংপুরে আ.লীগের এমপির বাসায় আগুন, লুটপাট
রংপুরের বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (ডিউক) ও পৌরসভার মেয়র আহসানুল হক চৌধুরীর (টুটুল) বাসায় আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। আগুন দেওয়ার পর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়েছেন। পরে বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে স্থানীয় দুপুর ১২টার দিকে আগুন দেয়। বিক্ষোভকারীরা লাঠি হাতে ওই দুই বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে।
অন্যদিকে রংপুর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। রোববার (৪ আগস্ট) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
দেশজুড়ে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্র রংপুর, নিহত ২
রংপুরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ও নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (রমেক) উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সকালে আন্দোলনকারীরা শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আকস্মিকভাবে আওয়ামী লীগের ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেন। আন্দোলনকারীরাও তাদের পাল্টা ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে উভয়পক্ষের ৩২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু মারুফ হোসেন (অপরাধ) গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এনএস/