ব্যাংকিং ও বীমা
শুক্র-শনিবার খোলা ব্যাংক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ব্যয় পরিশোধের সুবিধার্থে নির্বাচনের আগের দুদিন, অর্থাৎ আগামী শুক্র ও শনিবার সংশ্লিষ্ট তফসিলি ব্যাংক খোলা থাকছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দশনায় বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলনের সুবিধার্থে দুদিন ব্যাংক খোলা থাকবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ব্যাংক খোলা রাখার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য মহানগরীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তফসিলি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা আগামী শুক্র (৫ জানুয়ারি) ও শনি (৬ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকবে।
তবে যেসব কর্মকর্তা/কর্মচারীকে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা বা নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের উল্লিখিত ব্যাংকিং কাজে নিয়োজিত না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় নির্দেশনায়। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার ইসি উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়, ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির উল্লিখিত দিনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা তথা নির্বাচন-সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন ও আর্থিক লেনদেনের প্রয়োজন হবে।
সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য মহানগরীসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এরকম তফসিলি ব্যাংক খোলা রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
ব্যাংকিং ও বীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বাংলাদেশে ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গেলো এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংবাদিকরা আগের মতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এমন কোনো প্রতিবেদন করবেন না, যার ফলে এ খাতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সংকট দেখা দেয়। তারা অনিয়মের সঙ্গে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যারা অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। দেশে সংস্কার শুরু হয়েছে। পরবর্তী সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে ওইভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের অস্থায়ী পাস ইস্যু বন্ধ রাখা হয়। সেসময় অর্থনীতিবিষয়ক রিপোর্টিংয়ের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন বিষয়টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।
আই/এ
ব্যাংকিং ও বীমা
৩ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকবে
আগামী তিন দিন (সোম-মঙ্গল-বুধবার) ব্যাংক বন্ধ থাকবে। রোববার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসময় সব ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এরআগে সরকার নির্বাহী আদেশে সারাদেশে তিন দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।এসময় দেশের সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে দেশব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর রোববার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলো।
জেএইচ
অর্থনীতি
বুধবার থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকিং কার্যক্রম
আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে, আর ব্যাংকগুলোর দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ব্যাংকের মত দেশের শেয়ারবাজারেও বুধবার থেকে স্বাভাবিক লেনদেন হবে। অর্থাৎ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মূল লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। পরের ১০ মিনিট থাকবে পোস্ট ক্লোজিং।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেয়া কমপ্লিট শাটডাউন ঘিরে সহিংসতা শুরু হয়। এর ফলে গত শনিবার (২০জুলাই) রাতে দেশে কারফিউ জারি করে। রোববার, সোমবার ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। কারফিউ ও সাধারণ ছুটির জন্য ব্যাংক তিনদিন বন্ধ ছিল। এরপর পাঁচ কার্যদিবসে কারফিউ শিথিলের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলে। ফলে ১২ দিন ও ৮ কার্যদিবস পর স্বাভাবিক ব্যাংকিং চালু হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সবশেষ স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম হয়।
জেডএস/