বাংলাদেশ
খেলোয়াড়দের সাথে সংগঠকদেরও উৎসাহিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠককে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লে. শেখ জামালকে ২০২০ সালের খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে (মরণোত্তর) পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অগ্রগামী শেখ জামালের পক্ষে শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সংগঠকদের উৎসাহিত করতে এবং খেলাধুলার সার্বিক অগ্রগতির জন্য প্রতি বছর পুরস্কার প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি, প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তি ও সংগঠককে মনোনীত করেছে।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২৫ গ্রাম ওজনের ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০২০
(১) বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (মরণোত্তর)
(২) বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজালুর রহমান সিনহা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট) (মরণোত্তর)
(৩) নাজমুল আবেদীন (ফাহিম), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট কোচ)
(৪) মোঃ মহসীন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৫) মোঃ মাহাবুবুল এহছান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)
(৬) গ্র্যান্ডমাস্টার মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (দাবা)
(৭) বেগম নিলুফা ইয়াসমিন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৮) আব্দুল কাদের স্মরণ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৯
(৯) তানভীর মাজহার তান্না, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)
(১০) অরুন চন্দ্র চাকমা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস) (মরণোত্তর)
(১১) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (আর্চারি)
(১২) দিপু রায় চৌধুরী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)
(১৩) কাজী নাবিল আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)
(১৪) ইন্তেখাবুল হামিদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (শুটিং)
(১৫) মাহফুজা রহমান তানিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(১৬) ফারহানা সুলতানা (শীলা), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাইক্লিং)
(১৭) টুটুল কুমার নাগ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)
(১৮) মাহবুবুর রব, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
(১৯) সাদিয়া আক্তার উর্মি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৮
(২০) ফরিদা আক্তার বেগম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)
(২১) জ্যোৎস্না আফরোজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(২২) রফিক উল্যা আখতার (মিলন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)
(২৩) কাজী আনোয়ার হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(২৪) শওকত আলী খান (জাহাঙ্গীর), ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)
(২৫) মীর রবিউজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (জিমন্যাস্টিকস)
(২৬) মোহাম্মদ আলমগীর আলম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)
(২৭) তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রেফারি)
(২৮) নিবেদিতা দাস, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(২৯) মাহমুদুল ইসলাম রানা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (তায়কোয়ান্দো)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৭
(৩০) শাহরিয়া সুলতানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন)
(৩১) আওলাদ হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (জুডো, কারাতে ও মার্শাল আর্ট)
(৩২) ওয়াসিফ আলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (বাস্কেটবল)
(৩৩) শেখ বশির আহমেদ (মামুন), ক্যাটাগরি- সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)
(৩৪) সেলিম মিয়া, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৩৫) খোরশেদ আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (রোইং)
(৩৬) আবু ইউসুফ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৩৭) এ. টি. এম. শামসুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (টেবিল টেনিস)
(৩৮) রহিমা খানম যুথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৩৯) আসাদুজ্জামান কোহিনুর, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(৪০) মাহবুব হারুন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৬
(৪১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৪২) লে. কমান্ডার এ কে সরকার (অবঃ), ক্যাটাগরি- সংগঠক (বাস্কেটবল)
(৪৩) বেগম সুলতানা পারভীন লাভলী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৪৪) বীর মুক্তিযোদ্ধা শামীম-আল-মামুন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভলিবল)
(৪৫) আরিফ খান জয়, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৪৬) খন্দকার রকিবুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৪৭) জালাল ইউনুস, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)
(৪৮) তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাটাগরি- সংগঠক (অ্যাথলেটিকস)
(৪৯) কাজল দত্ত, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভরোত্তোলন)
(৫০) তাবিউর রহমান পালোয়ান, ক্যাটাগরি- সংগঠক (কুস্তি)
(৫১) জেড. আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল) (মরণোত্তর)
(৫২) আবদুর রাজ্জাক (সোনা মিয়া), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)
(৫৩) হাবিবুল বাশার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৫
(৫৪) ড. শেখ আবদুস সালাম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্যারম)
(৫৫) আহমেদুর রহমান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (জিমন্যাস্টিকস)
(৫৬) আহমেদ সাজ্জাদুল আলম, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)
(৫৭) খাজা রহমতউল্লাহ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি) (মরণোত্তর)
(৫৮) মাহ্তাবুর রহমান বুলবুল, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (বাস্কেটবল)
(৫৯) ফারহাদ জেসমিন লিটি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৬০) বরুন বিকাশ দেওয়ান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৬১) রেহানা জামান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৬২) জুয়েল রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৬৩) জেসমিন আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ভারোত্তোলন, কারাতে ও তায়কোয়ান্দো)
(৬৪) শিউলী আক্তার সাথী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৪
(৬৫) শামসুল বারী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (হকি) (মরণোত্তর)
(৬৬) এনায়েত হোসেন সিরাজ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ক্রিকেট)
(৬৭) ফজলুর রহমান বাবুল, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)
(৬৮) সৈয়দ শাহেদ রেজা, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(৬৯) ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৭০) এহসান নামিম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (হকি)
(৭১) কামরুন নেছা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৭২) সামছুল ইসলাম, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৭৩) মিউরেল গোমেজ, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৭৪) জোবায়েদুর রহমান রানা, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ব্যাডমিন্টন)
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার: ২০১৩
(৭৫) মুজাফফর হোসেন পল্টু, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় ও সংগঠক (ক্রিকেট)
(৭৬) কাজী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (হ্যান্ডবল)
(৭৭) উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ভারোত্তোলন)
(৭৮) শামসুল হক চৌধুরী, ক্যাটাগরি- সংগঠক (ফুটবল)
(৭৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্জাহান মিজি, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (সাঁতার)
(৮০) রোকেয়া বেগম খুকী, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৮১) মুনিরা মোর্শেদ খান (হেলেন), ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (টেবিল টেনিস)
(৮২) ইলিয়াস হোসেন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ফুটবল)
(৮৩) জ্যোৎস্না আক্তার, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (অ্যাথলেটিকস)
(৮৪) ভোলা লাল চৌহান, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (স্কোয়াশ)
(৮৫) খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্যাটাগরি- খেলোয়াড় (ক্রিকেট)
হাসিব মোহাম্মদ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ