টলিউড
পরিণতি পাচ্ছে ‘উড়ন তুবড়ি’ অভিনেত্রীর স্কুলজীবনের প্রেম
বিয়ের ধুম পরেছে যেন টলিপাড়ায়। সদ্যই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন সন্দীপ্তা সেন, শ্রীপর্ণা রায়, স্বর্ণদীপ্ত-অর্পিতা। সেই তালিকায় এবার জুড়ছে জি বাংলার তুবড়ির নাম। নতুন বছরেই সুখবর শোনালেন ‘উড়ন তুবড়ি’ নায়িকা। জানুয়ারিতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন অভিনেত্রী সোহিনী বন্দ্যোপাধ্যায়। নায়ক অর্জুনের হাতে আইবুড়ো ভাত খেয়েই বিয়ের খবর প্রকাশ করলেন সোহিনী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেস্ট ফ্রেন্ড সোহিনীকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর ছবি পোস্ট করেছেন স্বস্তিক ঘোষ (অর্জুন)। যা দেখেই শুরু হইচই। কার গলায় মালা দেবেন সোহিনী? বিয়ের তারিখই বা কবে?
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে সোহিনীর দেয়া সাক্ষাৎকারে জানা যায়, হাসিমুখে তাদের সঙ্গে বিয়ের তারিখ শেয়ার করে নিয়েছেন এ অভিনেত্রী। এই মাসের ২৭ তারিখ চারহাত এক হবে সোহিনী-জয়সূর্যর।
View this post on Instagram
সোহিনীর হবু বরের নাম জয়সূর্য গুপ্ত । স্কুলজীবনের প্রেম সোহিনী-জয়সূর্যর, এবার ছাদনাতলায় পরিণতি পাবে এই মিষ্টি প্রেমের গল্প।
বিয়ের তোড়জোড় কতদূর এগোলো? সোহিনী বললেন,’প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। বিয়ের আগে যেমন ব্যস্ততা থাকে আর কী। যতই শপিং করি শেষ হচ্ছে না,চলছে। আমার হবু বর তো লন্ডন থেকে আসবে ১৪ তারিখ সকালে। তার (জয়সূর্য) যে কেনাকাটাগুলো বাকি রয়েছে ওগুলো তারপরে সারব’।
কর্মসূত্রে লন্ডনে থাকে সোহিনীর ইঞ্জিনিয়ার পাত্র। এক নামী আইটি কোম্পানিতে চাকরি করে সে। এই মুহূর্তে ভিডিও কলেই জয়সূর্যর সঙ্গে বিয়ের শপিং থেকে প্ল্যানিং সবটা শেয়ার করছেন সোহিনী।
১০ বছরেরও বেশি পুরোনো সোহিনী-জয়সূর্যর সম্পর্ক। অভিনয় জগতের আর পাঁচজনের মতো নিজের সম্পর্ককে কোনওদিন গোপন রাখেননি সোহিনী। প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ভালোবাসার কথা। অভিনেত্রী বললেন, ‘এক্সাইটেড, নার্ভাস, ব্যস্ততা— মিশ্র একটা অনুভূতি। ছোটবেলা থেকে আমরা একসঙ্গে, এতদিন পর পূর্ণতা পাচ্ছে (সম্পর্ক), নিশ্চিতভাবে খুব স্পেশ্যাল। আমি তখন ক্লাস ১১, ও সদ্য কলেজে পা রেখেছে। দেখতে দেখতে এতগুলো বছর পার করেছি, বাকি জীবনটাও এভাবেই কাটাতে চাই’।
এখন প্রশ্ন হল বিয়ের পর কি অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানছেন সোহিনী? প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই বললেন, ‘না, না একদম নয়। আপতত এক বছর লন্ডনে থাকার পরিকল্পনা রয়েছে। আমি ছোট্ট বিরতি নিচ্ছি, কেরিয়ার ছাড়ছি না। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমি লন্ডনে যাব’।
নিউ সন্তোষপুরের মেয়ে সোহিনী। সন্তোষপুরের এক ব্যাঙ্কোয়েটে বসবে বিয়ের আসর। বিয়েতে খাঁটি বাঙালি কনের সাজেই দেখা যাবে সোহিনীকে। পরবেন টুকটুকে লাল বেনারসি। আর মেনু? তাতেও থাকছে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। সোহিনী জানালেন, ‘আমার সবচেয়ে পছন্দের ডিশ বিরিয়ানি, তবে সেটা থাকছে না। পুরো বাঙালি মেনুই সিলেক্ট করেছি’।
View this post on Instagram
২৬ তারিখ থেকেই শুরু হয়ে যাবে প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠান। কাছের বন্ধুদের নিয়ে মেহেন্দি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন অভিনেত্রী। ২৭ তারিখ সকালে হবে গায়ে হলুদ পর্ব। সাবেকি রীতি মেনেই জয়সূর্যর নামের হলুদ গায়ে ছোঁয়াবেন সোহিনী। ২৯ তারিখ হবে নবদম্পতির রিসেপশন।
আর মধুচন্দ্রিমা? বিয়ের পর লন্ডনে যাচ্ছেন যখন, সেখানেই হানিমুন সারবেন নিশ্চয়? সোহিনী বললেন, ‘এখন প্রচন্ড ঠাণ্ডা, মাস দুয়েক পর ইউরোপে হানিমুন প্ল্যান করব’।
টলিউড
কাধে ঝোলা ব্যাগ নিয়ে লন্ডনে ঘুরছে স্বস্তিকা মুখার্জি
পরনে লাল রঙের শাড়ি,গায়ে হাতাকাটা আকাশি রঙের ব্লাউজ, মাথায় হ্যাট। কাধে ঝোলা ব্যাগ, চোখে-মুখে লেগে আছে অমলিন হাসি। দুই হাতে জুতো নিয়ে ফেসবুকে এমনই একটি ছবি পোস্ট করেছেন ওপার বাঙলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর নেটিজেনরা তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, জুতা হাতে কেন দাঁড়িয়ে আছেন স্বস্তিকা?
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি । সাম্প্রতি তার মেয়ে অন্বেষা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মেয়ের সমবর্তন উপলক্ষ্যে স্বস্তিকা মুখার্জি মেয়ে অন্বেষার সঙ্গে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। এর এক ফাঁকে জুতা হাতে ক্যামেরাবন্দি হন এই অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা মুখার্জি ফেইসবুক পোস্টে লিখেন, ‘মায়েরা যেটা সব থেকে ভালো পারে সেটাই করছি। সব পোশাকের সঙ্গেই বোঁচকা ব্যাগ নিয়ে চলছি। হাতে স্যান্ডেল নিয়ে ঘুরছি যাতে ইভেন্টের পর মেয়ে পরতে পারে। হিল সাময়িক ব্যবহার করার জন্যই। আর এই ব্যাগে নিজের গোটা সংসার নিয়ে ঘুরছি।’
জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দেই এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে কয়েক বছরের মধ্যে । দুধের সন্তানকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর থেকেই সিঙ্গেল মাদার হিসেবে একমাত্র কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা।
জেডএস/
টলিউড
মমতার হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্বের অবসান টলিউডে, শুটিং শুরু
বেশ কিছুদিন ধরেই কোন্দল চলছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টলিউডে। মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক-অভিনয়শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা। যা নিয়ে দেনদরবারও কম হয়নি। বন্ধ ছিল শুটিং।
তবে সবার অপেক্ষা ছিল কোন্দল মেটাতে প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হলোও তাই। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে স্বস্তি ফিরল টলিপাড়ায়। বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে শুটিং। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যকার সমস্যা মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ, দেব ও পরিচালক গৌতম ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘দেখা হলো, কথা হলো, ভালো লাগল।’
তবে যাকে ঘিরে এতো বির্তক সেই রাহুল মুখোপাধ্যায় শুটিং শুরু করবেন আরো সাত দিন পর। পাশাপাশি ফেডারেশনের নিয়মকানুন নতুন করে খতিয়ে দেখতে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে গঠিত রিভিউ কমিটির কাছে নতুন নিয়মকানুন জমা দিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন পরিচালকরা। তারপর বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিওয় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টরস গিল্ড। পরিচালকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তীসহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত, সমস্যাটা শুরু হয় বাংলাদেশে একটি সিরিজের শুটিং করা নিয়ে। কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এসে শুটিং করায় কলকাতার নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়কে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টলিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি। নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করেন।
এসআই/
টলিউড
টলিউডে চলমান স্থবিরতা নিরসনে যা বললেন প্রসেনজিৎসহ অন্যরা
পশ্চিমবঙ্গের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। পরিচালক রাহুল মুখার্জিকে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক ধীরে ধীরে বহুদূর বিস্তার লাভ করে বেশ বড় ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুটিংয়ে পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না রাহুল মুখার্জি, টেকনিশিয়ানদের এই দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন পরিচালক থেকে কলাকুশলীরা। যার রেশ ধরে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে সব ধরণের শুটিং। এতে স্থবির হয়ে গেছে গোটা টলিউড।
শুরুতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এসে শুটিং করা কলকাতার নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়কে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টালিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি।
নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করেন। কয়েক দিন ধরেই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী টালিউড ইন্ডাস্ট্রি। ফেডারেশন বনাম পরিচালক ও প্রযোজক দ্বন্দ্বে বন্ধ সব শুটিং।
বিষয়টি সমাধানে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এক বৈঠক ডাকা হয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানে ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা, রাজ চক্রবর্তী, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, বিরসা দাশগুপ্ত, সুদেষ্ণা রায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, সুব্রত সেনসহ আরো অনেকে। বৈঠক শেষে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমরা একটি পরিবারের মতো। আমরা সারা জীবন টেকনিশিয়ানদের জন্য লড়াই করেছি। এটা মান-সম্মানের লড়াই। একটা পরিবারে অভাব-অভিযোগ থাকবে। তাই বলে পরিবার ভেঙে যায় না। আমরা চাই, কাজটা চলুক।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটা ছবির পেছনে প্রচুর মাথা কাজ করে। তাদের সব পরিশ্রম বন্ধ হয়ে গেল। আমি এখনো বুঝতে পারছি না বিরোধিতা কোথায়। আমি এক দিনে অনেকটা খেয়ে পেট খারাপ করব নাকি অল্প অল্প করে খাব, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা দেশের অন্য জায়গার তুলনায় অনেক ভালো। সুজিত সরকার, সুজয় ঘোষের মতো পরিচালকরা পোস্ট প্রডাকশনের কাজ করেন কলকাতায়। অথচ আমরা নিজেদের অগ্রগতির দিকে নজর দিই না। একজন পরিচালক সেটে এলে আমরা উঠে দাঁড়াই। পরিচালকদের সম্মান দেওয়া আমাদের কাজ। পরিচালকের আসনটা খুব সম্মানের। আমরা সবাই আবেগতাড়িত তবে ঘটনাটা এক দিনের নয়। অনেক দিন ধরে এটা জমতে জমতে এই আকার ধারণ করেছে। প্রত্যেকের যোগ্য সম্মান চাই। আমরা এখানে সদার্থক আলোচনা করছি।’
পরিচালক গৌতম ঘোষ বললেন, ‘একটা অচলাবস্থা চলছে। আমরা সেটা কাটিয়ে উঠতে চাই। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আন্তর্জাতিক জায়গায় নিয়ে যাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই চেয়েছেন। এই অচলাবস্থা থেকে বেরোতে গেলে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। দুই পক্ষকেই ভাবতে হবে। কেন এই অচলাবস্থা? তা মেটাতে চাই। কোনো কলহ নয়, বরং পারস্পরিক সৌহার্দ্য। আমরা বিভাজনে বিশ্বাস করি না। আমাদের ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রি। এখানে কোনো পক্ষ নেই। সবাই আমরা এক।’
রাজ চক্রবর্তী শেষে বলেন, ‘আমি সবার কাছে হাতজোড় করে বলছি আপনারা ভাবুন, আমরা যাতে কাল থেকে কাজ শুরু করতে পারি। আমরা আশা করছি, একটা সদর্থক কিছু বেরোবে।’
এই সংকট কাটিয়ে উঠতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নির্মাতারা।
এসআই/