বাংলাদেশ
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আগের অবস্থানেই ভারত
‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।বাংলাদেশের জনগণ যা চায় ভারত তা চায়’ -এভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান আবারও স্পষ্ট করলো ভারত।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি)নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন নতুন মুখপাত্র রণধীর জয়সাওয়াল।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল-আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা, প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী?
জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জয়সাওয়াল বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। আগের প্রেস ব্রিফিংয়েও এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। আমার পূর্বসূরি তখন এই প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছিলেন। তাই আমি এটা ছেড়ে দেব।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের আগ্রহ ছিল। কয়েক মাস আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রতিনিধি দল, বেশ কয়েকজন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী, নির্বাচন পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফরে আসেন। এসময় তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিরোধী দিল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দেল ও সুশিল সমাজের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারা অবাধ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক প্রতিনিধি দলও ঢাকা সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের সুরে কথা বলেন। থেমে থাকেনি জাতিসংঘের তৎপরতাও।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করলেও শেখ হাসিনা সরকারকে সমর্থন জানায় রাশিয়া, চীন ও ভারত। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশে ‘সংবিধান অনুযায়ী’ নির্বাচন চায় চীন। ভারত সরকারও স্পষ্টভাবে একাধিকবার জানিয়ে দেয়,নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ যা চায় ভারত সরকারও তা চায়।
গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিভিন্ন মতামত দিচ্ছে।এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে অআরও নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে ভারত। নয়া দিল্লি বলছে, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণঅলয়ের প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারত নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে পাঠাবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করেননি জয়সাওয়াল।
তবে কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ভারতের সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি পর্যবেক্ষক দল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে। প্রতিনিধিদলটি আসছে ৯ জানুয়ারি অর্থাৎ নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে বলেও ওই কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ