চট্টগ্রাম
নোয়াখালীর ৭ উপজেলায় একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ, আটক ৫
নোয়াখালীর সাত উপজেলায় একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে থেমে থেমে বিকট শব্দে এসব ককটেলের আওয়াজ শোনা যায়।
উপজেলাগুলো হচ্ছে, সদর, সূবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল ও কবিরহাট। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরকসহ সূবর্ণচরে চারজন ও কবিরহাটে একজনকে আটক করেছে।
সূবর্ণচরে আটকরা হলেন- মধ্য চরবাটা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান (১৯), রাশেদ ইকবালের ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ(২০), মো. বাবুলের ছেলে সাইমন ইসলাম ওরফে আল-আমিন (২০) ও আহমেদ মোস্তফার ছেলে মো. ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন (২০)। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়েছে।
এর আগে কবিরহাটে ককটেল ফাটিয়ে পালানোর সময় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলামকে (৩৩) আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আটক জহিরুল উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের গোলাপ রহমান ভূঁইয়া বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে চরবাটা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে ককটেল বিস্ফোরণের সময় চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে পাঁচটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করা হয়েছে।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুন্দলপুর গ্রামে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা জহিরুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টিআর/
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/