অপরাধ
পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত নৌকার ৭ কর্মী
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী) আসনে পরাজিত ঈগল মার্কার প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছেন নৌকার ৭ কর্মী। নৌকা প্রতীকে বিজয়ী প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মহিববুর রহমানকে শুভেচ্ছা জানাতে যাবার পথে, ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী হাটখোলা বাজার সংলগ্ন মুজিব কিল্লার পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কলাপাড়ার টিয়াখালী হাটখোলা বাজার থেকে নবনির্বাচিত এমপি মহিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তার কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। বাজার সংলগ্ন মুজিব কিল্লা এলাকায় পৌঁছালে টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সুজন মোল্লার নেতৃত্বে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজন মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আহত ব্যক্তিরা টিয়াখালীর জুয়েল প্যাদা হত্যা মামলার আসামি। তাঁরা নৌকার সমর্থক। সাবেক ইউপি সদস্য খোকন প্যাদা ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের সমর্থক। গতকাল ভোটের দিন টিয়াখালীর দুটি ভোটকেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে আজ সকালে খোকন প্যাদার বাড়িতে গিয়ে বশির উদ্দিন, মিজান, শিপনসহ কয়েকজন হামলা চালান। এতে খোকন প্যাদার বাবা ফারুক প্যাদা আহত হন। এলাকাবাসীসহ ঈগলের সমর্থকেরা প্রতিরোধ করতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, হামলায় আহত ৭ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, পটুয়াখালী ৪ আসনে এবার ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যান সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ