আইন-বিচার
গ্রেপ্তার আদম তমিজীর জামিন নামঞ্জুর
আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গেলো ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাকে হাজির করেন। এরপর বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে ১০ জানুয়ারি জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।
জানা যায়, আদম তমিজী হক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত কথা লিখেছিলেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা হয়। গেলো ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তার আচরণ ও কথা অসংলগ্ন মনে হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আদালতে জানানো হয় যে, আদম তমিজি হকের এলোমেলো কথাবার্তায় ডিবির মনে হয়েছে— তার চিকিৎসা প্রয়োজন।
পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় আদম তমিজি হককে। মানসিক হাসপাতালে নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ডও গঠন করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আদম তমিজী হক তার ফেসবুক ব্যবহার করে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ, মিথ্যা আক্রমণাত্মক তথ্য-উপাত্ত প্রচার করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ বর্তমান সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের অবমাননাকর, আপত্তিজনক, মানহানিকর, উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, তার এসব বক্তব্যে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তিনি তার অজ্ঞাতপরিচয় পলাতক সহযোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, সংহতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আসামিরা সংঘবদ্ধ সরকারবিরোধী ফেসবুক অ্যাক্টিভিস্ট। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের এসব নেতিবাচক কার্যকলাপে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে সুগভীর পরিকল্পনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব আপত্তিকর ভিডিও ও বক্তব্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন। যাতে শান্তিপ্রিয় জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ