ফুটবল
ফের মেসির হাতেই ‘ফিফা দ্য বেস্ট’
কাতার বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তিতে গত বছরের ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এবার ভাবা হচ্ছিল ভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়বে ট্রেবল জয়ী ম্যানসিটির নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং হাল্যান্ডের। তিনি সিটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইংলিশ লিগ ও এফএ কাপ জিতেছেন। কিন্তু এবারও মেসির কাছেই হারলেন হাল্যান্ড।
বিশ্বের প্রতিটি দেশের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক এবং সমর্থকদের ভোটে টানা দ্বিতীয়বারের মত ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ অ্যাওয়ার্ড জিতলেন মিয়ামি তারকা মেসি। সবমিলিয়ে তৃতীয়বারের মতো এই পুরস্কার ঘরে তুলে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন এলএম-টেন।
এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ জেতেন মেসি। তবে এবার পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন না মেসি। তার বদলে উপস্থাপক থিয়েরি অঁরি পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০২৩-এর আগস্ট- এই সময়টার মধ্যেই সেরা পারফর্মার বেছে নেয়া হয়েছে এবারের ফিফা ‘দ্য বেস্ট’-এর জন্য। এতে লিগ ওয়ান জিতে আমেরিকায় পাড়ি জমানো মেসির চেয়ে হাল্যান্ডকেই এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকে। ভোটে অবশ্য সমানে সমানে লড়াই হয়েছে দুজনের মধ্যে। দু’জনই পয়েন্ট ছিল সমান। তবে জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে প্রথম পছন্দের তালিকায় এগিয়ে ছিলেন মেসি। ফিফার ‘রুলস অব অ্যালোকেশন’র ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাই মেসির হাতেই আবারও উঠলো ফিফার সেরার পুরস্কার। অন্যদিকে, এই দুই তারকার থেকে অনেক পিছিয়ে থেকে তৃতীয় হয়েছেন ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
হাল্যান্ড সেরা খেলোয়াড় না হলেও বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গার্দিওলা। এমনকি সেরা একাদশেও ট্রেবলজয়ী ম্যানসিটির খেলোয়াড়দের জয়জয়কার। ১১ জনের ৬ জনই সিটির।
এদিকে, নারী ফুটবলার ক্যাটাগরিতে সেরা হয়েছেন স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী আইতানা বোনমাতি। ফিফা’র ফেয়ারপ্লে খেতাব জিতেছে ব্রাজিলের পুরুষ জাতীয় ফুটবল বল। যার পুরস্কার গ্রহণ করেন দেশটির কিংবদন্তী রাইটব্যাক কাফু।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//