লাইফস্টাইল
অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছেন না তো!
আশেপাশে একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে খুব সাধারণ একটি প্রবৃত্তি কাজ করে। আর তা হলো অন্যদের কাছে নিজে ভালো হওয়া। তাই তো না চাইলেও সব সময় অন্যকে খুশি করে চলতে হয়। অনেক সময় এমনও হয়ে থাকে, অনেক কাজ নিজের ভালো লাগছে না, কিন্তু অন্যকে খুশি করার জন্য করতেই হচ্ছে। অন্যকে ভালো রাখা বা খুশি রাখা কিন্তু মোটেও খারাপ কোনো কথা নয়। তবে যখন তা সব সময় আপনার নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে করতে হচ্ছে, তখনই সমস্যা হয়। কিংবা হতে পারে এ কাজগুলো আপনার মতাদর্শের সঙ্গে মিলছে না কিন্তু তা–ও করে চলতে হচ্ছে। তাহলে এটি মোটেও ঠিক নয়। এতে আপনার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। তাই এই অভ্যাস কাটিয়ে ওঠাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক শুধু অন্যকে খুশি করতে গিয়ে যে কথাগুলো একেবারেই বলা উচিত নয়।
আমি কিছু মনে করিনি
অনেক সময় দেখা যায় অনেকেই আমাদের সঙ্গে এমন সব ব্যবহার করে থাকেন, যা আমরা মোটেও পছন্দ করি না। কিন্তু এটা নিয়ে আমাদের কোনো কিছু বলে ওঠা হয় না। কিংবা অনেকেই যখন আপনাকে ছোট করে কোনো কথা বলে এবং আপনাকে নিয়ে তাদের আপত্তিকর মতামত দেয়, তখন বেশির ভাগ সময় আমরা আর এ নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। হয়তো অপর মানুষটি কী ভাববে, তাই ভেবে প্রতিবাদ করি না। আমরা সহজভাবে বলে ফেলি, আমি কিছু মনে করিনি। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। এই কথা তাদের পরবর্তী সময়ে একই ধরনের ব্যবহার করার পথ তৈরি করে দেয়। তাই সব সময় এ ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
‘না’ বলা পারতে হবে
অনেক সময় দেখা যায় আমরা কোনো কিছু করতে চাইছি না। তারপরও বলছি ঠিক আছে, যদিও তা আমাদের জন্য একেবারেই ঠিক নেই। অর্থাৎ আমাদের না বলতে পারতে হবে। আপনি যখন কোনো কিছু চাইছেন না, তখন স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন। এ ছাড়া আপনি যখন কাউকে স্পষ্টভাবে নিজের ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলতে পারেন না, তখন সম্পর্ক ভালোর দিকে তো যায়ই না, বরং ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। তাই আপনার জন্য যা ঠিক নয়, সেখানে ঠিক আছে বলবেন না।
কোনো সমস্যা নেই
আমাদের কোনো সমস্যা থাক কিংবা না থাক, এ কথা আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকি। অনেক সময় দেখা যায়, আপনার সমস্যা তো আছেই কিন্তু অন্যকে খুশি করাতে গিয়ে বলছেন, ঠিক আছে কোনো সমস্যা নেই। ব্যাপারটি মোটেও ঠিক নয়। যদি কোনো কিছু আপনার জন্য সুবিধাজনক মনে না হয়, তবে তা নিয়ে কথা বলুন।
বেরিয়ে আসুন ‘কিন্তু, সম্ভবত, হতে পারে’- কথা থেকে
অনেক সময় আমরা নিজেদের বেশি অমায়িক প্রদর্শন করতে এ ধরনের শব্দগুলো ব্যবহার করে থাকি। যেমন- হতে পারে আমি ভুল, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কাজটি আপনি সঠিকভাবে করেননি। আপনি যা বলতে চাইছেন তা স্পষ্ট করে বলে দেয়াই ভালো। এতে আপনার কথা বেশি প্রাধান্য পায়। অন্যদিকে আপনি যখন এ ধরনের শব্দ যুক্ত করেন, তখন আপনার কথা গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে।
কথায় কথায় সরি বলবেন না
আপনি যখন কোনো ভুল করবেন, তখনই শুধু সরি বলুন। অন্যথায় সরি বলবেন না। অনেক মানুষের মধ্যে এই অভ্যাস দেখা যায়। নিজে ভুল না করলেও তাঁরা সরি বলেন। তাঁদের ধারণা, নিজে কোনো কিছু না করলেও আগে থেকেই সরি বলে মিটিয়ে নেওয়া ভালো। কিন্তু এতে আবারও আপনার গুরুত্ব হারিয়ে যায়। মানুষ আপনাকে দুর্বল ভাবতে শুরু করে, যা আপনার ব্যক্তিত্বের জন্য মোটেও ঠিক নয়। তাই কথায় কথায় সরি বলা থেকে বিরত থাকুন।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ