রাজশাহী
রেল মন্ত্রণালয়ে ভূয়া উপ-সচিব আটক
রাজশাহী মহানগরীতে চাঁদাবাজির সময় এক ভূয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আটক হয়েছে। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রোববার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রেলগেট স্টেশন এলজি শো-রুম থেকে তাকে আটক করে।
আটককৃত ভুয়া উপ-সচিবের নাম রফিকুল ইসলাম রাশিকুল (২৯)। তিনি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার বাঁশিলা গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে একজন ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম জানান, গেলো ২২ মে দুপুর আড়াইটায় লক্ষীপুর সিএন্ডবি মোড়ে এলজির শো-রুমে রাশিকুল টিভি কেনার জন্য যায়। সেখানে ব্যাটারফ্লাই (এলজি) এর সিনিয়র টেরিটরি অফিসার হাসানের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়কালে রাশিকুল নিজেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। রশিকুল কৌশলে হাসানকে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদের চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। তার প্রলোভনের স্বীকার হয়ে হসান রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে চাকরির আবেদনপত্র ডাউনলোড করেন এবং চাকরির আবেদনপত্র পূরণ করে রেলভবন কার্যালয়ে জমা দেয়।
এরপর হাসান ভুয়া উপ-সচিব রাশিকুলের সাথে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় রেলগেট স্টেশন এলজি শো-রুমে আসে। সেখানে রাশিকুল ব্যাংক ড্রাফট বাবদ ১ হাজার ২০০ টাকা এবং চাকরি পাওয়ার শর্তে অগ্রীম ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। হাসান সরল বিশ্বাসে তাকে ১ হাজার ২০০ টাকা দেয়। এদিকে হাসানের কাছে ৫০ হাজার টাকা না থাকা ও ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাশিকুলকে টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করেন হাসান। পরে রাশিকুল টাকার জন্য হাসানকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে।
এসময় বিষয়টি হাসানের সন্দেহ হলে তিনি তার পরিচিত বন্ধুর সহযোগিতায় ঘটনাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। হাসান গোয়েন্দা পুলিশের পরামর্শক্রমে ডিবি পুলিশ না আসা পর্যন্ত ভূয়া উপ-সচিব পরিচয়দানকারীকে কৌশলে শো-রুমে ব্যস্ত রাখেন।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদসহ ডিবির একটি দল রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় অভিযান পরিচালনা করে বোয়ালিয়া মডেল থানার রেলগেট স্টেশন এলজি শো-রুম থেকে তাকে আটক করে।
মেঘ হাসান
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ