খেলাধুলা
বার্সার দায়িত্ব ছাড়ছেন জাভি
বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল টানা ব্যর্থতার জেরে জাভি হার্নান্দেজ বার্সেলোনা দায়িত্ব ছাড়তে পারেন। যা সত্যি ঘটনায় রূপ নিতে চলেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ৫-৩ ব্যবধানে শিষ্যদের হারের পর সাবেক এই তারকা মিডফিল্ডার কাতালান কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি মৌসুম শেষ হলেই বার্সেলোনা ছাড়বেন জাভি। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে সর্বশেষ পাঁচ লড়াইয়ে তৃতীয় পরাজয় দেখল গতবারের লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ ব্যবধানে সমতা থাকলেও, যোগ করা সময়ে আরও দুই গোল খেয়ে বার্সা নিজেদের টানা দ্বিতীয় হার নিশ্চিত করে। ফলে টেবিল টপার রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ল ১০–এ। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে বার্সা তিনে রয়েছে। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে চলতি মৌসুমের বড় চমক জিরোনা।
শিরোপা থেকে দূরত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন বার্সেলোনার কোচ জাভি, ‘আগামি ৩০ জুনের পর আমি আর বার্সেলোনার কোচ থাকছি না। ক্লাবের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত। কেউ আমাকে বলেছিল, বার্সার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন হতে। এটা অসম্ভব। বার্সায় এটা কখনো হবে না। আমরা এমন জায়গায় আছি, যেখান থেকে ফেরা সম্ভব নয়। আমি মনে করি এটাই ক্লাব ছাড়ার সময়, যা নিয়ে আজ বোর্ডের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
Here’s what Xavi said as he announced that was leaving Barça at the end of the season: pic.twitter.com/Pj4LWLYtTo
— FC Barcelona (@FCBarcelona) January 27, 2024
তবে হুট করেই এই সিদ্ধান্ত নেননি জাভি। ক্লাবের জন্য সমস্যার কারণ হতে চান না তিনি। তিনি বলেন, ‘একদিন আগে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন সেটা প্রকাশ্যে জানানোর সময়। আমি মনে করি খেলোয়াড়দেরও নিজেদের খুব মুক্ত ভাবতে দেয়া উচিৎ। আমি ক্লাবের সমস্যার কারণ হতে চাই না। এই মুহূর্তে তাই আমার একটাই চিন্তা– ক্লাব ছেড়ে দেয়াই সবচেয়ে ভালো সমাধান হতে পারে। জুনে আমি দায়িত্ব ছাড়ছি।’ এরপর ক্লাব সভাপতি জুয়ান লাপোর্তাসহ অন্যদের প্রশংসা করেন জাভি।
তিনি আরও বলেন, ‘এটা নির্মম চাকরি। আপনার সব সময় মনে হবে আপনি মূল্য পাচ্ছেন না। বাজে আচরণের শিকার হবেন। আপনারা দেখবেন কীভাবে তারা (সংবাদমাধ্যম) আপনাকে শেষ করে দেয়। তারা আপনার সমালোচনা করে এবং সেটা আপনাকে আক্রান্ত করে। এটা সব বার্সা কোচের সঙ্গে হয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত ক্লাব ছেড়ে যেতে হয়, কাজ চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে থেকে না।’
দলের ব্যর্থতার দায় নিজের কাধে নিয়ে জাভি বলেন, ‘টাকা দ্বারা চালিত হয়ে আমি সিদ্ধান্ত নেই না। আমার চুক্তি কখনোই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না। আমি হৃদয় দ্বারা চালিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেই। আশা করি এখন সবকিছু শান্ত হবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের জন্য লড়তে পারব। এই সিদ্ধান্তের পর আপনারা আমাকে আর শেষ করে দেবেন না। আমি সবচেয়ে বেশি দায়ী। আমি এই সিদ্ধান্ত কিছু সময় আগে নিয়েছি। এখন এটা শেষ। আমি লাপোর্তাকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এটা শেষ। হ্যাঁ, আমি চেষ্টা করেছি।’
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//