তথ্য-প্রযুক্তি
‘জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত হলো ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক
তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব বিবেচনায় ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে ‘জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নিউইয়র্ক। যুক্তরাষ্ট্রের বড় কোনো শহরে এ ধরনের পদক্ষেপ এই প্রথম।
গেলো বুধবার (২৪ জানুয়ারি)ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
অ্যাডামস বলেন, ‘নানা আসক্তিমূলক ও বিপজ্জনক ফিচার দিয়ে টিকটক, ইউটিউব, ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর নকশা করা হয়েছে। এগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামাক ও বন্দুকের ক্ষেত্রে যেমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন মার্কিন সার্জনরা, তেমনি আমরা অন্যান্য সামাজিক মিডিয়াকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকির মতো বিবেচনা করছি এবং এটি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
নিউইয়র্ক শহরের স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান সামাজিক মাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করার সুপারিশ করেন। তিনি নিউইয়র্ক শহরের তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের রূপরেখা তুলে ধরেন এবং স্বাস্থ্যকর সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারে উৎসাহিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
এজন্য প্রযুক্তিবিহীন সময় কাটানো, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের সময় ব্যবহারকারীর অনুভূতি পর্যবেক্ষণ করা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার নির্দেশ দেন তিনি।
জরিপ বলছে, বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে, মজাদার বিষয় নিয়ে আলাপ করতে ও ট্রেন্ড অনুসরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ৯৫ শতাংশ কিশোর–কিশোরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেন। এজন্য তরুণেরা যে ধরনের গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে, তার সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া এসব মাধ্যম ব্যবহারের আসক্তিও বেড়েছে।
শিশুদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ওপর অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে ও অনলাইনে কাটানো সময় বেঁধে দিতে টিকটক ও ইউটিউবসহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি কোম্পানি এর মধ্যে নতুন কিছু ফিচারও এনেছে।
নিউইয়র্ক শহরের এই পদক্ষেপ নিয়ে টিকটক, গুগল ও মেটা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
গত বছরের মে মাসে এক সুপারিশমালা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল বিবেক এইচ মুর্তি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যে ‘শিশু-কিশোরদের জন্য নিরাপদ’, তার যথেষ্ট প্রমাণ নেই। মানসিক স্বাস্থ্যের এই সংকটের সময়ে আমরা সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবকে উপেক্ষা করতে পারি না। এটি লাখ লাখ পরিবার ও শিশুদের কষ্টের জন্য দায়ী।
গত বুধবার প্রকাশিত এই সুপারিশে বলা হয়, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের হতাশা ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ও আত্মহত্যার ঘটনা ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কালো, ল্যাটিন, নারী বা এলজিবিটিকিউপ্লাসের মধ্যে এই হতাশার মাত্রা অনেক বেশি।
সামাজিক মাধ্যমকে একেবারে নির্মূল না করে বরং এর সম্ভাব্য ঝুঁকি তুলে ধরে নিউইয়র্ক শহরের উপদেশমূলক বার্তা প্রকাশের বিষয়টিকে প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নের অধ্যাপক ওফির টুরেল। তিনি প্রযুক্তির আচরণগত প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।
সামাজিক মাধ্যমের সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে ‘বডি ইমেইজ, সামাজিক তুলনা, বিষণ্নতা ও আসক্তির মতো’ বিষয়গুলোকে উল্লেখ করেন টুরেল। এছাড়া তিনি একে তুলনা করেছেন ‘ফুড রেগুলেশন মডেল’ নামের এক পদ্ধতির সঙ্গে। এই মডেলে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ না করেই বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়।
জাতীয়
শুক্র ও শনিবার ইন্টারনেট ফ্রি করে দিলো গ্রামীণফোন
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অন্যতম সেবা প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। এবার রিচার্জ কিংবা প্যাকেজ কেনা ছাড়াই ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গ্রামীণফোনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, শুক্র ও শনিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ইন্টারনেট ফ্রি। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
<iframe src=”https://www.facebook.com/plugins/post.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FGrameenphone%2Fposts%2Fpfbid02uyp6SmgzkTtERBvh73dhLiU6quBf3nrfukCRDGFyYJsnBZyKDf8h62mPBNDRs9Y6l&show_text=true&width=500″ width=”500″ height=”654″ style=”border:none;overflow:hidden” scrolling=”no” frameborder=”0″ allowfullscreen=”true” allow=”autoplay; clipboard-write; encrypted-media; picture-in-picture; web-share”></iframe>
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডেটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো– গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক।
জেডএস/
তথ্য-প্রযুক্তি
ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের ফেসবুক পেজ সরিয়ে দিলো মেটা
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুকের ও ওয়াটসঅ্যাপের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান মেটা। ফেসবুক পলিসির বিরুদ্ধে গিয়ে পেজ দুটি পরিচালনা করায় এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) মধ্যরাত ও সকালে পর্যায়ক্রমে সাদ্দাম এবং ইনানের পেজ দুটি আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, সাইবার ৭১ নামের একটি সাইবার গ্রুপের আবেদনে ছাত্রলীগ সভাপতির ৬ লাখ ২৯ হাজার অনুসারীর পেইজটি সরিয়ে নেয় মেটা। বিষয়টি নিজেদের ফেসবুক পেইজে নিশ্চিত করেছে সাইবার ৭১।
অন্যদিকে ‘Murshiddarbar Community’ নামক ফেসবুক থেকে ইনানের ২ লাখ ৩২ হাজারেরও অধিক অনুসারীর পেজ সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সাদ্দামের পেজ বন্ধের বিষয়ে মেটার কাছে আবেদনকারী শুভকে পাঠানো এক মেইলে বলা হয়, “Good news that the account you reported has already been taken down from our platform by our team since they do go against Facebook policies. We’ve removed the account you reported from Facebook.”
প্রসঙ্গগত, এ বিষয়ে এখনও ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদকের কোন বক্তব্য দেয়নি।
আই/এ
তথ্য-প্রযুক্তি
এবার মোবাইল ডাটায় অচল ফেসবুক-টেলিগ্রাম
মোবাইল নেটওয়ার্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রাম চালানো যাচ্ছে না।
শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে অনেক ব্যবহারকারী জানান, মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রবেশে সমস্যার মুখে পড়ছেন তারা।
মোবাইল অপারেটর সূত্রে জানা যায়, মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক ও টেলিগ্রাম বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। তাই দুপুর ১২টার পর থেকে ফেসবুকের ক্যাশসার্ভারগুলো ডাউন করে রেখেছে মোবাইল অপারেটররা। মোবাইল নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা রয়েছে।
বিস্তারিত আসছে….