বাংলাদেশ
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাক আপ গুগল ড্রাইভে রাখবেন কীভাবে!
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন অ্যাপসের সাথে আমরা প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছি। এমনই একটি যোগাযোগ মাধ্যম হলো ‘হোয়াটসঅ্যাপ’। লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজেকে আপডেট রাখতে ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ আমারা ব্যবহার করে থাকি। প্ল্যাটফর্মটি ইউজারদের জন্য সবসময়ই সেরা সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। চ্যাটগুলি ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি ‘গুগল’ ড্রাইভে চ্যাটের হিস্ট্রি রাখার একটি বিকল্প অফার করে।
ব্যবহারকারীরা তাদের চ্যাট ব্যাকআপের জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যাকআপ বৈশিষ্ট্য সক্ষম করার বিকল্প পান এবং এর ফ্রিকোয়েন্সি দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক হিসাবে নির্বাচন করতেও পারেন ইউজাররা।
মেসেজিং অ্যাপ সম্পর্কে আমাদের যা জানা দরকার তা এখানে।
গুগল ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কীভাবে ব্যাক আপ করবেন?
ধাপ ১: শুধুমাত্র থ্রি-ডট আইকনে আলতো চাপুন, যা প্রধান স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে দৃশ্যমান।
ধাপ ২: শুধু সেটিংসে আলতো চাপুন এবং চ্যাট > চ্যাট ব্যাকআপ > গুগল ড্রাইভে ব্যাক আপ করুন।
ধাপ ৩: ‘কখনই না’ ছাড়া অন্য একটি ব্যাকআপ ফ্রিকোয়েন্সি নির্বাচন করুন।
দ্রষ্টব্য: আমরা দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক ব্যাকআপ সেট করতে পারি। ‘কেবল যখন আমরা ব্যাক আপ ট্যাপ করি তখনই’ বেছে নেয়ার একটি বিকল্পও রয়েছে। তবে কখনই এই বিকল্পটি বেছে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় না। এর কারণ আমরা যখনই চ্যাটের ব্যাক আপ নেয়ার কথা মনে করি তখন আমাদের সেটিংসে যেতে হবে, যা বেশ বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। দৈনিক বা সাপ্তাহিক বিকল্প বেছে নেয়া সবসময়ই ভাল। এইভাবে, আমাদের চ্যাটগুলি সময়ে সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাক আপ হয়ে যাবে এবং সেগুলি হারানোর বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না।
ধাপ ৪: এখন, আমরা যে গুগল অ্যাকাউন্টে আমাদের চ্যাট হিস্ট্রি ব্যাক আপ করতে চাই সেটি নির্বাচন করতে হবে।
ধাপ ৫: যদি একটি গুগল অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত না থাকে, তাহলে আমাদের ‘অ্যাকাউন্ট যোগ’ এ আলতো চাপতে হবে এবং লগইন ডিটেল দিতে হবে।
ধাপ ৬: যে নেটওয়ার্কটি ব্যাকআপের জন্য ব্যবহার করতে চাই সেটি বেছে নিতে ব্যাক আপ ট্যাপ করতে হবে।
দ্রষ্টব্য: মনে রাখতে হবে যে যদি একটি সেলুলার ডেটা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাক আপ নিতে চান, তাহলে অনেকে ডেটা ব্যালান্স নষ্ট হতে পারে। Wi-Fi ব্যবহার করে যেকোনো কিছুর ব্যাক আপ নেয়া এবং জরুরি সময়ের জন্য মোবাইল ডেটা সংরক্ষণ করা সবসময়ই ভালো।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাকআপের জন্য সিকিউরিটি ফিচার কীভাবে এনাবেল করবেন?
যেহেতু চ্যাটগুলিকে একটি থার্ড পার্টি সার্ভিসে ব্যাক আপ করতে হয়, ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ নিরাপত্তার একটি অতিরিক্ত স্তর সেট আপ করার অনুমতি দেয়। ব্যবহারকারীরা গুগল ড্রাইভ ব্যাকআপের জন্য এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু করা যেতে পারে।
ধাপ ১: ‘হোয়াটসঅ্যাপ’ খুলুন এবং আরও বিকল্প > সেটিংস > চ্যাট > চ্যাট ব্যাকআপ > এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড ব্যাকআপ-এ আলতো চাপুন।
ধাপ ২: ‘চালু করুন’ এ আলতো চাপুন।
ধাপ ৩: এখন, একটি পাসওয়ার্ড তৈরি করুন বা পরিবর্তে একটি 64-সংখ্যার এনক্রিপশন কী ব্যবহার করুন।
ধাপ ৪: আপনার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা ব্যাকআপ তৈরি করতে ‘ট্যাপ টু ক্রিয়েট’ বাটনে আলতো চাপুন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ