চট্টগ্রাম
সাজেকে যাবেন রাষ্ট্রপতি, অন্যদের জন্যও খোলা থাকবে সব
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্যালি পর্যটন কেন্দ্র সফরে যাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। আগামী ১০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিন অবকাশ যাপনে যাবেন তিনি। রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরে রিসোর্ট-কটেজ ও রেস্টুরেন্ট কোনোটাই বন্ধ থাকছে না। বলেছেন রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে সাজেকে কটেজ, রেস্টুরেন্ট কোনোটাই বন্ধ থাকবে না। রাষ্ট্রপতি তার সফরের কারণে যাতে পর্যটকদের অসুবিধা না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি অন্যান্য পর্যটকদের সঙ্গেই সাজেকের সৌন্দর্য্য উপভোগ করবেন।
সাজেকে রাষ্ট্রপতির সফর উপলক্ষ্যে ওই সময়ে নিরাপত্তা বলয় জোরদার রাখতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক বরাবরে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের আপন বিভাগের প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হকের সই করা এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাঙামাটি জেলার সাজেক সফর করবেন। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও তার সফর সঙ্গীগণের গমনাগমনের প্রশাসনিক, আবাসন ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি অবকাশ যাপনে আসবেন, তাই প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আমাদের সমিতির সঙ্গে একটি সভা হয়েছে। তবে উনার আগমনের বিষয়টি আগামী ৬ তারিখ চিঠি পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে আমরা জানতে পেরেছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি উনার সফরকালে যাতে সাধারণ পর্যটকদের অসুবিধা না হয় সেটি দেখতে বলেছেন। আপাতত রিসোর্ট কটেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি, তবে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার স্বার্থে যদি বন্ধ রাখতে হয় আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।
এর আগে, গেলো বছরের ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিন রাষ্ট্রপতির সাজেক সফরের কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে সফরটি স্থগিত করে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। ওই সফরকে কেন্দ্র করে ১৮-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিন সাজেকের সব কটেজ-রিসোর্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সাজেক কটেজ মালিক সমিতি। তবে আগামী ১০-১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির সফর নিয়ে রিসোর্ট, কটেজ ও রেস্টুরেন্ট কোনোটাই বন্ধ থাকছেনা বলে জানিয়েছেন জেলাপ্রশাসক।
উল্লেখ্য, মেঘ পাহাড়ের রাজ্যখ্যাত সাজেক ভ্যালী আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে অবস্থিত।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/