অপরাধ
ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ফ্লাইওভারের নিচে অজ্ঞাতনামা একজন যুবককে দুর্বৃত্তরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। কিন্তু এই হত্যার ঘটনায় আসামিদের শনাক্ত করার মতো কোন প্রকার প্রমাণ ছিল না। অবশেষে এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। গেলো (১৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬. ১৫ মিনিটে চাঞ্চল্যকর ঘটানা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর থানার রুহুল আমিনের ছেলে মো. মাহাবুব হাসান ওরফে বাঁধন(৩৫) এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর থানার নজল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া ওরফে খোকন (৩১)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির সূত্রে জানা গেছে, মৌচাক তেলিরচালা এলাকার পূর্বানী গ্রুপে কর্মরত ইমরান হোসেন শান্ত (২৪) নামের এক শ্রমিক তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার জন্য উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় এসে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার সাথে থাকা মোবাইল এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমরান হোসেন শান্তকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়ছে, নিহত ইমরান হোসেন শান্তর কাছে কোন প্রকার পরিচয়পত্র না থাকায় কালিয়াকৈর থানা পুলিশ তার পরিচয় কোনোভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি। সে সাথে ঠিক কি কারণে কে বা কারা শান্তকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারও কোন ক্লু বের করতে পারছিল না কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইমরান হোসেন শান্তর নিথর দেহের ছবি ছড়িয়ে পড়লে সিরাজগঞ্জে থাকা তার স্বজনরা কালিয়াকৈর থানায় এসে যোগাযোগ করলে পুলিশ নিহত ইমরান হোসেন শান্ত’র লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। একদিন নিহত শান্তর চাচা দেয়ান লিখন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত শুরু করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। পরে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাহবুব হাসান ওরফে বাধান ও সুজন মিয়া ওরফে খোকন দুই জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেয়া তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, হত্যাকারীর ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ