চট্টগ্রাম
সবার মন জয় করে যেভাবে মেয়র হয়েছিলেন সাক্কু (ভিডিও)
২০১২, প্রথম কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
২০১৭, দ্বিতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
২০২২ তৃতীয় সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। কে হচ্ছেন এবারের মেয়র?
দেশের ৮ম এবং সবচেয়ে ছোট হলো কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন৷ ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম অনুষ্টিত হয় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এ্যাডভোকেট আফজল খানকে ৩০ হাজার ৩১১ ভোটে হারিয়ে বিএনপি থেকে পদত্যাগী নাগরিক কমিটির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু প্রথম কুমিল্লার মেয়র নির্বাচিত হন৷ আফজল খান পান ৩৫ হাজার ৪২৯ ভোট এবং মনিরুল হক সাক্কু পান ৬৫ হাজার ৭৪০ ভোট। ২০১২ সালে নির্বাচনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভোটার সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৬৯ হাজার৷ ভোট কেন্দ্র ছিলো ৬৫টি ৷ সেবার সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ছিলো ৪৭টি। ওই নির্বাচনে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে। সেবার প্রথমবারের মত দেশে একটি সিটি কর্পোরেশনের পুরোটাই ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোট নেয়া হয়।
পাঁচ বছর মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ দ্বিতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ভোটার ছিলো ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। তবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এক লাখ ৩২ হাজার ৬৯০ ভোটার। দ্বিতীয় বারও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে ১১ হাজার ৮৫ ভোটে হারিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু । আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট। আর মনিরুল হক সাক্কু পান ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট।
পাঁচ বছর পর আগামী ১৫ জুন তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর জমে ওঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী। তাদের মধ্যে আরফানুল হক রিফাত নৌকা, সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু টেবিল ঘড়ি, কামরুল আহসান বুলবুল হরিন, নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া ও রাশেদুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
অন্যদিকে কাউন্সিলর পদে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন একশ ৪৭ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার, ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দিতা হবে আওয়ামীলীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে। জয়ের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক গণ সংযোগ শুরু করেছেন এই দুই প্রা্র্থী। তবে বসে নেই অন্যান্য প্রার্থীরা। দিনরাত সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন তারা।
প্রার্থীদের এমন ব্যাস্ততা আর তোড়জোড় দেখে ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দিপনা সৃস্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। এই উৎসাহ উদ্দিপনা কাজে লাগিয়ে কে হবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। এক পক্ষ বলছে সাবেক মেয়রই আবার নির্বাচিত হবেন । আবার অন্য পক্ষ্য বলছে, সাবেক মেয়রের নানা ব্যার্থতা সুযোগে নতুন মেয়র হিসেবে জয়ের মালা পড়বেন আরফানুল হক রিফাত। নানা মানুষের নানা মত আর পার্থক্য বিশ্লেষণের সেই ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/