আইন-বিচার
১৫ বছর পর বিসিএসের ভাইভায় ডাক পেলেন দেবদাস
২০০৯ সালের ২৯তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় সময় সঙ্গে টাকা পরিশোধের রসিদ না আনায় তাকে ‘অযোগ্য’ঘোষণা করা হয়। ফলে তিনি বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারেননি। পনেরো বছর আগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অস্বাভাবিক এক নিয়মে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হয়নি দেবদাস বিশ্বাসের। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পিএসসিতে তাকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডেকেছে পিএসসি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করে দীর্ঘ ১৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন দেবদাস বিশ্বাস। তার মৌখিক পরীক্ষা আয়োজনে পিএসসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর-৩১৫৯/২০১১ এবং সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল নম্বর-৩০৩১/২০১৮ এর রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯তম বিসিএস পরীক্ষা-২০০৯-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী দেবদাস বিশ্বাস, রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ০০১৫৭৫ এর মৌখিক পরীক্ষা ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এতে বলা হয়, দেবদাস বিশ্বাসকে সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক প্রেরিত সাক্ষাৎকারপত্র এবং সাক্ষাৎকারপত্রে উল্লেখিত কাগজপত্রসহ নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রার্থী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে তার মৌখিক পরীক্ষা আর গ্রহণ করা হবে না এবং প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
এ বিষয়ে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমে বলেন, ২৯তম বিসিএসের সময় নিয়ম ছিল মৌখিক পরীক্ষার সময় টাকা জমা দেয়ার রসিদ সঙ্গে আনতে হবে। তিনি সেটি না নিয়েই মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন, এজন্য তাকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয় এবং তার মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়নি। এরপর দেবদাস বিশ্বাস আদালতে যান। আদালত চূড়ান্ত রায় দেন। রায়ের কপি আমরা হাতে পাওয়ার পরই তাকে মৌখিক পরীক্ষার
এএম/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ