চট্টগ্রাম
এনডিএম কক্সবাজার জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) কক্সবাজার জেলা শাখার ১ম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১২ জুন) সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এনডিএম কক্সবাজার জেলা শাখার আহবায়ক মো. সেলিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ববি হাজ্জাজ বলেন, রোহিঙ্গা সংকট পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের ব্রান্ডিংয়ের পথে বড় অন্তরায়। আমাদের মনে আছে, শক্তিশালী বিদেশি রাষ্ট্রগুলো যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার ছিলো, তখন বাংলাদেশ সরকার চাল কূটনীতি করতে খাদ্যমন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠায়। সরকারের সেই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি বদলে যায়। হঠকারী এই সিদ্ধান্তের খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে আমাদেরকে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐক্যমত সৃষ্টির সুযোগ নিতেও ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ভাসানচর আশ্রয়কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা টেকসই না হওয়ায় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো এখানে দীর্ঘমেয়াদে আগ্রহ দেখাবে না।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এমনিতেই কোনঠাসা অবস্থায় রয়েছে সরকার। নিজ দেশে গুম-খুনের অভিযোগের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে মিয়ানমার সামরিক জান্তার গণহত্যা নিয়ে সোচ্চার হতে পারছে না বাংলাদেশ। দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি এবং প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সীমাহীন ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন পাচ্ছে না বাংলাদেশ। আমরা মনে করি, দেশে এবং বিদেশে সরকার বন্ধুহীন বলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে এই সংকট। একইসাথে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক মুসলিম জাতিগত নিধনের ব্যাপারে জাতিসংঘের ভূমিকাও আমাদের হতাশ করেছে।
এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন নুরুজ্জামান হীরা এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন এনডিএমের বিভাগীয় সম্পাদক এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ। সম্মেলন শেষে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ডেলিগেটদের সমর্থনে মো. সেলিমকে কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি এবং এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা দেন এনডিএমের যুগ্ম মহাসচিব মোমিনুল আমিন।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/