অপরাধ
‘রাজধানীর ৬ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা’
রাজধানীতে অনুমোদনহীন ৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা এবং অনিয়মের অভিযোগে ১২ প্রতিষ্ঠানের আংশিক সেবা বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অভিযানের প্রথম দিনে লাইসেন্স না থাকা, নবায়ন না করাসহ বিভিন্ন কারণে মোট ৬টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে দুটি টিম রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে।
বন্ধ করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো— রাজধানীর মোহাম্মদপুরের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারের টিজি হাসপাতাল, রেডিয়াম ও রাজধানী ব্লাড ব্যাংক, ইসিবি চত্বরে অবস্থিত আল হাকিমী চক্ষু হাসপাতাল (প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন ছিল না), কালশীর এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এ এইচ এস ডায়ালাইসিসি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামীকাল শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের এই সহকারী পরিচালক।
জানা গেছে, হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান মিরপুর কালশী, সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন মোহাম্মদপুর এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ক্লিনিক শাখার সহকারী পরিচালক ডা. আহসানুল হক, ডা. মাসুদ রেজা খান, মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী মো. সালেহীন তৌহিদ রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৬টি টিম পৃথকভাবে আগামীকাল (বুধবার) থেকে পূর্ণাঙ্গ অভিযানে নামবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান দেখেছি, এর মধ্যে ৬টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। বাকিগুলোকে শোকজ করা হবে। বন্ধ করে দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটির লাইসেন্স আপডেট ছিল না, বাকিগুলোর লাইসেন্সই ছিল না। মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ারে দুটি ব্লাড ব্যাংক (রেডিয়াম ব্লাড ব্যাংক রাজধানী ব্লাড ব্যাংক) ও একটি হাসপাতাল (টিজি হাসপাতাল) বন্ধ করেছি। আর ইসিবি চত্বরে আল হাকিমি চক্ষু হসপিটাল বন্ধ করেছি। এছাড়াও কালশীতে এশিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও এইচএস ডায়ালাইসিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি, এগুলোর লাইসেন্স ছিল না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নতুন নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে এসব নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে বলেও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ