খেলাধুলা
নিষেধাজ্ঞা পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, সঙ্গে জরিমানা
দর্শকদের প্রতি বাজে অঙ্গভঙ্গির দায়ে সৌদি প্রো লিগে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্ঠিক জরিমানা। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই রোনালদোর সামনে। যে কারণে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে আল নাসরের ম্যাচে খেলতে পারবেন না ৩৯ বছর বয়সী এই পর্তুগিজ তারকা।
দর্শকদের প্রতি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির কারণে এক ম্যাচের জন্য এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়া হয়েছে রোনালদোকে। এর পাশাপাশি ৩০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানাও দিতে হবে তাকে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড এথিকস কমিটি এই রায় দিয়েছে।
সৌদি আরবে খেলতে যাওয়ার পর দর্শকদের আচরণে বিরক্ত হয়ে রোনালদো বেশ কয়েকবার মেজাজ হারিয়েছেন। তবে আল শাবাবের বিপক্ষে ম্যাচে তার প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। ম্যাচ চলাকালে গ্যালারি থেকে আসা লিওনেল মেসির নামে স্লোগান আসতে শুরু করলে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন রোনালদো।
সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়ে রোনালদোর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি অ্যান্ড এথিকস কমিটি। তবে রোনালদো কোনো দোষ স্বীকার করেননি। বরং জানিয়েছেন, তিনি কোনো দৃষ্টিকটু আচরণ করেননি। যা করেছেন, তা ইউরোপীয় ফুটবলে সাধারণ ব্যাপার। সব ক্লাব ও খেলোয়াড়ের প্রতিই তার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে, এমন মন্তব্যও করেছেন তিনি।
এরপরেই রোনালদোকে এক ম্যাচের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এছাড়া আছে ৩০ হাজার রিয়াল জরিমানা। এর মধ্যে ১০ হাজার রিয়াল দিতে হবে সৌদি ফুটবল ফেডারেশনকে। আর অভিযোগ প্রস্তুতকরণ খরচবাবদ আল শাবাবকে ২০ হাজার রিয়াল। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে কমিটি।
সিআরসেভেন যেখানেই যাচ্ছেন, মেসির ‘ভুত’ যেন তাড়া করছে তাকে। সাম্প্রতিক সময়ে হুটহাট মেজাজও হারিয়ে ফেলছেন। গতকাল (রোববার) রাতেও আল শাবাব সমর্থকদের ‘মেসি, মেসি’ স্লোগানে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি সিআরসেভেন। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর কানের পেছনে হাত নিয়ে সেই স্লোগান শুনছেন এমন ভঙ্গি করেন রোনালদো। এরপর আল-শাবাব সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেই জয় উদযাপন করেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আল-হিলালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ হারের পর মেসি মেসি স্লোগানের প্রতিক্রিয়ায় বাজে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন রোনালদো। ওইদিন এক সমর্থকের ছুঁড়ে মারা স্কার্ফ নিজের শর্টসের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//