লাইফস্টাইল
পুরুষের এই ৫ আচরণেই স্ত্রীর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রুধারা
মহিলাদের মন নরম হওয়ায় পুরুষের কাছে যেইসব বিষয়গুলি সামান্য উদ্দীপনাও তৈরি করে না, সেইসব বিষয়গুলিই মহিলাদের মনে নাড়া দিয়ে যায়। তাই স্ত্রীর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকার ইচ্ছে থাকলে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেই জীবন কাটাতে হবে। এমনকী কথা বলার সময় এবং কাজ করার সময়ও ভেবে চিন্তে পা ফেলা জরুরি। নইলে যে আপনার বেফাঁস কর্মকাণ্ডের জেরে স্ত্রীর মনে বড়সড় আঘাত লাগতে পারে। এমনকী তাদের চোখ বেয়ে নেমে আসতে পারে অশ্রুধারা।
তাই বিপদ ঘটার আগেই এই প্রতিবেদন থেকে এমন কিছু কারণ সম্পর্কে জেনে নিন যার দরুন স্ত্রীর চোখ দিয়ে ঝরে পড়তে পারে অশ্রুধারা। আশা করছি, এখনই এইসব ভুল শুধরে নিলে ভবিষ্যতে আর সমস্যার ফাঁদে পড়তে হবে না।
১. চিৎকার করলে
অনেক পুরুষই কথায় কথায় স্ত্রীর উপর চিৎকার করেন। আর স্বামীর এমন আচরণে মহিলাদের মনে জমা হয় কালো মেঘ। আর সেই মেঘে মেঘে কখন যে চোখ বেয়ে বৃষ্টি নামে, তা আগে থেকে অনুমান করাও সম্ভব নয়। তাই এবার থেকে এই ভুলটা করা উচিত হবে না। বরং যতই রাগ হোক না কেন, মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। এই কাজটা করলেই খেলা ঘুরে যাবে।
২. মদ্যপান করলে
মহিলাদের মধ্যে অনেকেই মদ্যপান এড়িয়ে চলার পক্ষপাতি। বিশেষত, স্বামী যদি প্রতিদিন আকণ্ঠ মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন, তাহলে তাদের জীবনে দুঃখের সুনামী ওঠে। আর সেই কারণেই তিনি কেঁদে কেটে ভাসিয়ে দেন। তাই স্ত্রীর চোখের পানির কদর করলে এবার থেকে মদ্যপান করার বদভ্যাসে ফুলস্টপ দিন। এই কাজটা করলেই তার মুখে আপনি হাসি ফোটাতে পারবেন।
৩. কথা না শুনলেই সঙ্গী হবে মন খারাপ
বিয়ের পর সবসময় নিজের কথা শুনলে চলবে না। বরং সব সিদ্ধান্তে স্ত্রীর মতামত জেনে নিতে হবে। এমনকী তার পরামর্শ মতো কাজ করতে হবে। নইলে যে তার মনের কোণে জমা হতে পারে দুঃখের ঘন কালো মেঘ। আর তারপরই স্ত্রীর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়তে পারে অশ্রুধারা। তাই এই পরিস্থিতির ফাঁদ এড়িয়ে চলতে চাইলে আজ থেকেই স্ত্রীর কথা শুনে চলার চেষ্টা করুন।
৪. তার বাবা-মাকে সম্মান না দিলেই ঘটবে অঘটন
স্ত্রীর কাছে তার বাবা-মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই তারা সবসময় চান যেন স্বামী তার অভিভাবকদের প্রাপ্য সম্মান দেন। কিন্তু কিছু পুরুষ আবার এই বিষয়টা বুঝেও বুঝতে চান না। তাই তারা কথায় কথায় স্ত্রীর বাবা-মাকে অপমান করেন। আর এই কাজটা করেন বলেই স্ত্রীর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ে বিশাদের পানি। তাই সুখে সংসার করতে চাইলে আজই এই ভুল শুধরে নিতে হবে।
৫. ভালোবাসায় কমতি হলেই ফাঁসবেন
সব মহিলাই তার স্বামীর কাছে ভালোবাসা চান। এটাই তাদের মূল দাবি। তবে অনেক পুরুষ স্ত্রীর এই সাধারণ চাওয়া-পাওয়াও পূরণ করতে পারেন না। ফলে স্ত্রীর মনে বাসা বাঁধে হতাশা। আর সেই কারণেই তিনি সবার অলক্ষে একা একা বসেই চোখের পানি ফেলেন। তাই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে না চাইলে অর্ধাঙ্গীনিকে ভালোবাসার চাদরে মুড়ে রাখুন। ব্যস, তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ