খুলনা
৩২ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে ৩২ মামলার শীর্ষ সন্ত্রাসী রমজান আলীকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে অপর দলের সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত রমজান আলী রেলগেট পশ্চিম পাড়া এলাকার ফয়েজ শেখের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে রমজান শেখ যশোরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে হত্যা-অস্ত্র-বিস্ফোরকসহ ২৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে অস্ত্র মামলা ৭টি, বিস্ফোরক মামলা ৫টি, হত্যা মামলা একটি, ডাকাতির মামলা একটি, হত্যা চেষ্টা মামলা ৪টি এছাড়া মাদক সহ অন্যান্য ৭টি মামলা রয়েছে।
নিহত রমজানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে, রমজান আলী গতকাল রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে হাঁটাচলা করছিলেন। এ সময় চোরমারা দিঘির পাড় এলাকার পিচ্চি রাজা নামে একজন তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.খন্দকার রেজওয়ান জামান বলেন, রাত ১০টার পর রমজানকে জরুরি বিভাগে মৃত অবস্থায় আনা হয়। রমজান আলীর বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী পপি বলেন, অনেক আগ থেকে পিচ্চি রাজার সঙ্গে তার স্বামী রমজানের শত্রুতা ছিল। মুরগি খামার নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, রেলগেট পশ্চিম পাড়ার রমজান আলী এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। হত্যা, মাদকসহ কয়েক ডজন মামলা রয়েছে তার নামে। ২০২২ সালের ১ আগস্ট র্যাবের হাতে সে আটক হয়। সে সময় র্যাবের পক্ষ থেকে তাকে শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়। কয়েক মাস আগে রমজান জামিনে ছাড়া পায়। ছাড়া পাওয়ার পর পুরনো পেশায় ফিরে যায়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) জুয়েল ইমরান বলেন, রমজান আলী নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আসামি আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের বিরুদ্ধে ৩২টি মামলা রয়েছে।
খুলনা
কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি
কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।
এএম/
খুলনা
মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।
রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।
জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’
মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেডএস/
খুলনা
কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।
এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।
নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।
এসি//