Connect with us

জাতীয়

রইশুদ্দিনের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয়, সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান

Avatar of author

Published

on

বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পাঁচ দিনের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলন শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি ও বিএসএফ এর মহারিচালকদ্বয়। সংগৃহীত ছবি

‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দিনের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয়। এটা নিয়ে উভয় পক্ষেরই একটা দ্বিধা ছিলো। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সময় খুবই অন্ধকার ও ঘন কুয়াশা  ছিলো।’’ এসব কথা বললেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)এর মহাপরিচালক(ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষদিন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে আমাদের অফিসিয়ালি জানানো হয়েছে-প্রথমতঃ এটা কোনো উদ্দেশ্য প্রণোদিত হত্যাকাণ্ড ছিল না। এটা নিয়ে উভয় পক্ষেরই একটা দ্বিধা ছিলো।  হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার সময় খুবই অন্ধকার ও ঘন কুয়াশা  ছিলো। বিজিবি ও বিএসএফের এখন মূল লক্ষ্য যাতে সীমান্তে কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটে। পোশাকধারী বা সাধারণ নাগরিক যিনিই হোক, কোনো প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সে জন্য উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাজ করছে। এখন থেকে এটাই বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘সীমান্তে চোরাকারবারীদের হামলায় গত বছর প্রায় ৬০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। তারা সাধারণত দা দিয়ে খুব কাছ থেকে বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন প্রাণ রক্ষায় বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে, তারা দেখে না গুলিটা বডির কোনো পার্টে লাগছে।’

সীমান্তে বর্ডার হাট বাড়ানো বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘বর্ডার হাট একটি ম্যাকানিজম। আমি বিশ্বাস করি উভয় দেশের সরকার এব্যাপারে সম্মত আছে। এটি দুই দেশের সীমান্ত এলাকার জনগণের জীবনমান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। দুই দেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আমরা আলোচনা করেছি যাতে আরো বেশি করে বর্ডার হাট বসানোর প্রক্রিয়া যথাযথ বাস্তবায়ন করা যায়।  দুই দেশের সীসান্ত এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য যাতে এটি বাস্তবায়ন করা যায়।

Advertisement

সীমান্তে সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারী ও অবৈধ অস্ত্র পাচার রোধে বিএসএফ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক নিতিন আগ্রাওয়াল বলেন,‘আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।  এরইমধ্যে আমরা কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছি। আমরা উভয়পক্ষই এনিয়ে আলোচনা করেছি কীভাবে এই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, ফলপ্রসু করা যায়। এ জন্য সীমান্তে যৌথ অভিযান, তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানসহ নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি রইস উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে উভয় দেশকে আমরা জানিয়েছি। ওই দিন আসলে কী ঘটেছিল, আমি আর এ বিষয়ে ব্যাখ্যায় যাবো না।’

সীমান্তে হত্যা বন্ধ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করছে। সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় সংঘবদ্ধ অপরাধ, মানবপাচার, চোরাকারবারীর মতো নানা অপরাধীরা বিভিন্ন সময় বিএসএফ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে। তখন আত্মরক্ষার্থে কখনও কখনও বিএসএফ সদস্যরা ফায়ার করতে বাধ্য হন। গত বছর প্রায় ৬০ জন বিএসএফ সদস্য দা-এর মতো প্রাণঘাতী অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত হন। বিএসএফের প্রতিরোধে শুধু বাংলাদেশি নয়, ভারতীয় অপরাধীরাও মারা যায়।

ঢাকায় ৫ থেকে ৯ মার্চ বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।  অপরদিকে, ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএসএফ মহাপরিচালক নিতিন আগ্রাওয়াল। এবারের সম্মেলনে উভয়পক্ষ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে যথাযথ ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের ব্যাপারে একমত হন।

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা

Published

on

শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা  ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে  শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ

Published

on

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং  জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

Advertisement

জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ

Published

on

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।

পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।

Advertisement

সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it