চট্টগ্রাম
‘১৭৭ জন আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন করা হবে’
বিজিপি সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ জন পলাতক সদস্যকে শিগগির তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিজিপি সদস্যদের শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। পূর্বে যেভাবে আশ্রিতদের ফেরত পাঠানো হয়েছে সেভাবে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। স্মৃতিস্তম্ভটি এমন একটি জায়গা যেখানে ১৭৯৫ সালে রামগড় স্থানীয় ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা সময়ের সাথে সাথে বিজিবিতে পরিণত হয়।
বিজিবি প্রধান আইসিপি প্রসঙ্গে বলেন, গেলো বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিপি উদ্বোধন করেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় অংশে আরেকটি আইসিপি উদ্বোধন করেন। আইসিপি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতি অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় অর্থনৈতিক চাকা যেভাবে সচল হয়েছে, সেটি আরও জোরদার হবে এবং ভবিষ্যতে আরও সমৃদ্ধ হবে।
রামগড় স্থলবন্দরটি নিরাপত্তার বিষয়ের প্রশ্নে ডিজি বলেন, এ ক্ষেত্রে সিকিউরিটির ডাইমেনশন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে থাকবে। সে জন্য এখান পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে যেহেতু এটির সাথে ফেন্ডশিপ ব্রিজ রয়েছে এবং এখানে যে রোড হচ্ছে সেটা চট্টগ্রাম পোর্টসহ অন্যান্য জায়গা থেকে দূরত্ব কম। তাই সার্বিকভাবে পারস্পরিক বাণিজ্যের নতুন সমৃদ্ধির দ্বার খুলে যাবে। সবদিক থেকে এটা আরো ত্বরান্বিত হবে।
এরপর তিনি রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদরে সকল স্তরের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সকলের সাথে ইফতার করেন। তিনি সংশ্লিষ্টর সবাইকে আভিযানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, এ সময় বিজিবি প্রধান বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় সীমান্তবর্তী ২৫০টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে চাল-ডাল-চিনিসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনের আগে বিজিবি মহাপরিচালক রামগড় স্থলবন্দর, মৈত্রী সেতু, এবং বাংলাদেশ-ভারত বিজিবি রামগড় ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) পরিদর্শন করেন।
এএম/
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/