ক্রিকেট
ফেরার অপেক্ষায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি (সিএল টি-টোয়েন্টি) নিয়ে আবারও আলোচনা উঠেছে। সর্বশেষ এই লিগ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড মিলে নতুন করে আবারও সিএল টি-টোয়েন্টি নতুন করে আয়োজনের ব্যাপারে প্রস্তাব উত্থাপন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে ক্রিকেট ভিক্টোরিয়ার নির্বাহী পরিচালক নিক কামিন্স এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন।
ক্রিকেটের সূচিতে এখন ব্যস্ততা। নতুন কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। যেখানে বর্তমানে যেসব লিগ চলছে, সেসব লিগে খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। ভিক্টোরিয়া নির্বাহী পরিচালক কামিন্স মনে করছেন, এই ব্যস্ত সূচিতে একটি ফাঁকা ‘উইন্ডো’ পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এছাড়া এই লিগ আয়োজনে খুব বেশি সমস্যা দেখছেন না তিনি।
কামিন্স বলেন, “আমার মনে হয়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সময়ের থেকে বেশ এগিয়ে থাকা ছিল। টি-টোয়েন্টির ধরন সেসময় তত বেশি পরিণত ছিল না। আমার মনে হয় এখন সেটা বেশ পরিণত।“
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি জানি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, ইসিবি ও বিসিসিআই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।“
বেঙ্গালুরুতে ২০১৪ সালে সর্বশেষ সিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন হয়। সেখানে কোলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস শিরোপা জিতে নেয়। সেবার ভারত থেকে ৩ টি দল, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ২ টি এবং পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড থেকে ১ টি করে দল অংশ নেয়।
প্রতি বছর ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত একবার করে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতেছিল চেন্নাই ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২ বার, সাউথ ওয়েলস ও সিডনি সিক্সার্স ১ বার করে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি হলে, সেখানে সেরা খেলোয়াড়দের আধিক্য দেখা যাবে। কামিন্স যেমনটি বললেন। কারণ আইপিএল ব্যতীত অন্যান্য লিগে ভারতীয় খেলোয়াড়দের পাওয়া যায় না। অন্যদিকে আইপিএলে পাওয়া যায় না পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের। সেক্ষেত্রে সিএল টি-টোয়েন্টি হতে পারে এর সমাধান। যেখানে সেরা খেলোয়াড়দের একসাথে পাওয়া যাবে।
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//