চট্টগ্রাম
কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত সেই চিকিৎসকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসক কোরবান আলীর মৃত্যু হয়।
তার ছেলে আলী রেজা বলেন, ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আইসিইউতে বাবার মৃত্যু হয়েছে।
নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজশাহ কলোনি ঈদগাঁও মাঠ সংলগ্ন জে লাইনে গেলো ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) কিশোর গ্যাংয়ের হামলার মুখে পড়েছিলেন দাঁতের চিকিৎসক কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজা। ছেলেকে মারধর করতে দেখে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও হামলার শিকার হন কোরবান আলী। তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন আলী রেজা।
সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কোরবান আলীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন হয়। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে আকবর শাহ থানায় রোববার মামলা করা হয়। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) তিন জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিলেন আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রব্বানী।
হামলাকারীরা স্থানীয় যুবলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী বলে অভিযোগ করেছেন আলী রেজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থেকে একজনকে বাঁচাতে চিকিৎসকের ছেলে রেজা ফোন করেছিলেন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রেজার ওপর হামলা করে তারা। আর ছেলেকে হামলাকারীদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন চিকিৎসক কোরবান আলী।
চিকিৎসকের ছেলে আলী রেজা সাংবাদিকদের জানান, গত শুক্রবার বিকেলে পশ্চিম ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধর করছিল। তিনি ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ওই দুই শিক্ষার্থী তার কাছে সাহায্য চাইলে তিনি ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে একজনকে ধরে নিয়ে যায়।
সেদিন সন্ধ্যায় ইফতারি কিনতে বাসা থেকে বের হন আলী রেজা। তখন তাকে একা পেয়ে মারধর করতে থাকেন কিশোর গ্যাং সদস্যরা। ছেলের ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বাবা।
একপর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ইট দিয়ে কোরবান আলীর মাথায় আঘাত করে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লে প্রথমে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/