জাতীয়
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি করতে সম্মত বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ।
দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি করতে সম্মত হয় দুই দেশ। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক দিকগুলো পর্যালোচনা করেছেন এবং ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, যুব উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, ওষুধসহ বিভিন্ন সেক্টরে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে একমত হন তারা। দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্ভাবনার পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মালদ্বীপের সঙ্গে বাংলাদেশ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তিতে প্রবেশে আগ্রহ প্রকাশ করে।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, মালদ্বীপের সম্ভাবনাময় বাণিজ্য পার্টনার বাংলাদেশ।
নিকট ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে অগ্রাাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি (পিটিএ) সই হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইব্রাহিম সলিহ।
গভীর সমুদ্র থেকে টুনা মাছ আহরণে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে মালদ্বীপ।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, পর্যটনসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে দুই দেশের।
উভয় দেশ শুল্ক সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রস্তাবিত চুক্তি চূড়ান্ত করতে এবং দ্বিগুণ কর এড়ানোর বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়।
একটি নৌপরিবহন চুক্তির মাধ্যমে মালে এবং বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি নৌ যোগাযোগ স্থাপন এবং বাংলাদেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার বিষয়ে সম্মত হন দুই নেতা।
মালদ্বীপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
মালদ্বীপের শান্তিরক্ষীদের জন্য বাংলাদেশের ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ে (বিআইপিএসওটি) প্রশিক্ষণ কোর্স গ্রহণের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।
মালদ্বীপে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
দুই দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রশংসা করেন সফররত দেশটির প্রেসিডেন্ট।
মালদ্বীপে চিকিৎসা বিষয়ক পেশাদারদের ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ করার প্রস্তাব দেন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম সলিহ।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে জাতিসংঘ, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হন দুই নেতা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সলিহ বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপ যৌথভাবে কাজ করবে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মালদ্বীপের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ফাইয়াজ ইসমাইল, পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সচিব সাবরা ইব্রাহিম নুরদিন এবং পররাষ্ট্র সচিব আবদুল গফুর মোহামেদ
শেখ সোহান
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ