আইন-বিচার
দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছেন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক এমডিসহ ৯ জন
দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সরবরাহের মাধ্যমে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার (বিএসইসি) মো. তৌহিদুজ্জামানসহ ৮ কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদকের চট্টগ্রাম-১ এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জেনারেল ম্যানেজার (বিএসইসি) মো. তৌহিদুজ্জামান, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সাবেক উৎপাদন বিভাগীয় প্রধান কায়কোবাদ আল-মামুন, সাবেক বিপণন বিভাগীয় প্রধান ও বর্তমান ম্যানেজার মো. সাইদুর রহমান জামালী, সাবেক হিসাব বিভাগীয় প্রধান মো. রেজাউল করিম, ক্রয় বিভাগীয় প্রধান মো. ছিদ্দিকুর রহমান দেওয়ান, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. হুমায়ুন কবির, প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বিশ্বজিত চৌধুরী, সাবেক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. হায়াত মাহমুদ এবং ট্রেডিং টেলেন্টের মালিক মো. রাহাত হাসান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে জাপান ছাড়া ৫৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩০ টাকা মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড থেকে সরবরাহ ও গ্রহণ করে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সুনাম ক্ষুণ্ণ ও ক্ষতি করেছেন। প্রাপ্য ২৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭২০ টাকার পণ্য সরবরাহকারীর কাছ থেকে গ্রহণ করে মিথ্যা ও ভুয়া রিসিভ দেখিয়ে ও গুণগতমানের প্রত্যয়ন দিয়ে বিল ভাউচার তৈরি করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি’র ৪০৯, ১০৯, ৪২০ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এমন অপকর্ম সংগঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ