জাতীয়
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই। বললেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে এ কথা বলেন। আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’।
দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ : গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ