চট্টগ্রাম
পুলিশের গাড়িতে হামলা, বিজয়ী চেয়ারম্যানসহ পরাজিত প্রার্থী আটক
পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায় আটক করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবিনে হুছাইন ভুলু ও পরাজিত প্রার্থী আক্তার হোসেন বোরহান চৌধুরী। জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই তারা এ ঘটনা ঘটায়।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধার মানিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটকের পর থেকে ভুলু ও বোরহান সদর মডেল থানা হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে হামলার ঘটনা ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্র্যানেড নিক্ষেপ করে। এরপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আটক ভুলু ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি এবং বোরহান তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থী বোরহান চৌধুরী ৬২৩৯ ভোট ও আনারস প্রতীকে ভুলু ৭৫৪২ ভোট পেয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে অটোরিকশা মার্কার প্রার্থী বোরহান চৌধুরীর ভোট কম পাওয়ায় তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তারা দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি-সার্কেল) সাইফুল আলমের গাড়ির সামনের গ্লাসের কাঁচ ভেঙে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪ রাউন্ড গ্যাস সেল এবং ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্যানেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থাকে বিজয়ী চেয়ারম্যান ভুলু ও পরাজিত প্রার্থী বোরহানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে এতে কোনো রকম হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফল ঘোষণা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়৷ আটক দুইজনের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সীমানা জটিলতা ও মামলার কারণে তেওয়ারীগঞ্জসহ সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ১৩ বছর নির্বাচন স্থগিত ছিল। রোববার (২৮ এপ্রিল) ইউনিয়নগুলোতে ভোটগ্রহণ হয়।
এসি//
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/