ফুটবল
বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস কেউ জিততে পারেনি
প্রাক-মৌসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরে দারুণ এক ম্যাচ উপহার দিয়েছে বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। মঙ্গলবার ডালাসের কটন বোল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নাটকীয় ম্যাচটিতে কোন দলই জিততে পারেনি। দুই দলের দুই তারকা ওসমানে ডেম্বেলে ও মোয়েস কিনের দুটি করে গোলে ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।
ফরাসি উইঙ্গার ডেম্বেলে ৩৪ মিনিটে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। হুয়ান কুয়ানড্রাডো ও সান্দ্রোকে কাটিয়ে দারুন দক্ষতায় তিনি জুভেন্টাসের গোলরক্ষক ওজিচে সিজিসনিকে পরাস্ত করেন। কিন্তু বার্সেলোনার এই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে কলম্বিয়ান উইঙ্গার কুয়াড্রাডোর নিখুঁত লো ক্রসে কিন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানকে কোন সুযোগ না দিয়ে বল জালে জড়ালে সমতায় ফিরে জুভেন্টাস। পরের মিনিটেই আরও একবার ইতালিয়ান জায়ান্টদের দূর্বল রক্ষণভাগে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বার্সেলোনা এগিয়ে যায়। এই গোলে আবারো ভুল করে বসেন কুয়াড্রাডো। ডেম্বেলকে তিনি আটকাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ম্যানুয়েল লোকাতেল্লিও ডেম্বেলেকে ধরে রাখতে পারেননি। ৪০ মিনিটে ২-১ গোলের লিড পায় কাতালান জায়ান্টরা।
বিরতির পর বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বেশ কিছু পরিবর্তন করে দল মাঠে নামান। ডেম্বেলের স্থানে এ সময় মাঠে নামেন ব্রাজিলিয়ান রিক্রুট রাফিনহা। সদ্য দলে যোগ দেয়া লিডসের এই সাবেক স্ট্রাইকার ইতোমধ্যেই প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার শুরুটা ভাল হলেও জুভেন্টাসও থেমে থাকেনি। তারই ধারাবাহিকতায় ৫২ মিনিটে ডেনিস জাকারিয়া ও লোকাতেল্লি মিলিত প্রচেষ্টার বলটি জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি কিন। ৬৮ মিনিটে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বার্সেলোনার দুটি শট পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে আবারো হয়ত এগিয়ে যেতে পারতো কাতালান ক্লাবটি। রাফিনহার কার্লিং ফ্রি-কিক প্রথমে পোস্টে লেগে ফেরত আসলে আনসু ফাতিও গোলে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শটটিও বারে লাগলে হতাশ হতে হয় বার্সেলোনাকে। বার্সেলোনার আরেক নতুন চুক্তিভূক্ত খেলোয়াড় রবার্ট লিওয়ানোদস্কি কাল নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে ৬২ মিনিটে তাকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয় বার্সা বস জাভি। তবে পুরো দলের পারফরমেন্সে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জুভেন্টাসের কোচ মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি।
প্রাক-মৌসুম যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরবর্তী ম্যাচে আগামী রোববার বার্সেলোনা নিউ ইয়র্ক রেড বুলসের ও জুভেন্টাস আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের মোকাবেলা করবে।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//