রাজশাহী
ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে দেশি অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যার দিকে সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের কালিরমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুজানগর থানার ওসি জালাল উদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকরা দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক শাহিনের এক সমর্থকের পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল তুলে দিলে দু গ্রুপের মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ ঘটে।
পরবর্তীতে আব্দুল ওহাবের সমর্থক ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের লোকজনের সঙ্গে শাহিনের সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশের সঙ্গে শাহিনুজ্জামান শাহিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, আমিন চেয়ারম্যানের বাড়ির ওপর হামলার খবর পেয়ে সেখানে গেলে শাহিনের লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শর্টগানের ফায়ার করলে একজনের পায়ে লাগে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, তাঁর বাড়ির ওপরে শাহিনুজ্জামান শাহিনের লোকজন হামলা করেছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ এসে তাদের প্রতিরোধ করে।
হামলার জন্য আমিন চেয়ারম্যানকে দায়ী করে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে একজন প্রার্থী আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আব্দুল মজিদ নামের আমার এক সমর্থককে মারধর করে। এটা নিয়েই উত্তেজনা। পরে আমিন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে তাঁর লোকজনের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে তাঁর কয়েকজন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আহতরা হলেন-ওই এলাকার বাদশা প্রামাণিক (৪০, মতিন শেখ (৫০) ও আব্দুল আওয়াল (৩৫)। অন্যান্য আহত এবং আটক ব্যক্তিদের তাৎক্ষনিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আই/এ
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ