দুর্ঘটনা
এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা
সড়ক দুর্ঘটনায় এপ্রিল মাসে দুই হাজার ১১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
রোববার (১২ মে) সংগঠনটি থেকে দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
গেলো এপ্রিল মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৭২টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৯ জন আর আহত হয়েছেন ৯৩৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১০৮।
সংগঠনটি বলেছে, বিদায়ী মাসটিতে ৩১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৫৯ জন নিহত হন, যা মোট প্রাণহানির ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট প্রাণহানির ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন, যা মোট মৃত্যুর ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হয়েছেন)। ৩৮টি রেল দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাসের যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ডাম্প ট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনাসমূহের ১৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
টিআর/
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
ঢাকা
মেঘনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ২ জনের লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরের মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজের মধ্যে ছিলেন বর সানজুসহ তার ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয়। এর মধ্যে জেলেদের জালে বরের ভাই শাওন ও বন্ধু হৃদয় বেপারীর মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বর সানজু।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার সময় গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুষ্পেন দেবনাথ বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার হওয়া শাওন পুরান ঢাকার ধোলাইখালের শাহজাহান বেপারীর ছেলে ও হৃদয় একই এলাকার বলু বেপারীর ছেলে। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একই পরিবারের ৩জন সহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১ জন।
গেলো শুক্রবার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত হন বরের মা, বোন, ভাই ও বন্ধু। এর আগে সকাল ১০টায় কোদালপুর লঞ্চ ঘাট থেকে মাঝেরচর যাওয়ার সময় মেঘনায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় (স্রোতের) ডুবে ট্রলারটি। এসময়ে ট্রলারটিতে ১১ জন যাত্রী ছিলো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, আহত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫ জন বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এএম/
দুর্ঘটনা
বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজবাড়ীতে নিহত ২
রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আরও কয়েজন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজবাড়ী আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকাল ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে ফরিদপুরগামী লোকাল আমানত শাহ নামের একটি বাস সদর উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের আহলাদিপুর টিটিসি ভবনের সামনে এলে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। আহত হন আরও ৪-৫ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা বলেন, আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চালক ও হেলপাররা পলাতক রয়েছে ।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে একজনকে নিয়ে আসা হয়। আহত অবস্থায় ছয়জনকে হাসপাতালে আনলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
জেডএস/