বাংলাদেশ
এনআইডিতে বাংলাদেশের বদলে অন্য দেশ
নিজের জন্মস্থানের জায়গায় অন্যান্য দেশের নাম চলে আসছে জাতীয় পরিচয়পত্রে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জে যারা জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন থেকে ডাউনলোড দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশের এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জন্মস্থান সুনামগঞ্জের জায়গায় লেখা তুরস্ক। এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন সুনামগঞ্জের একাধিক ব্যক্তি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এটা টেকনিক্যালি একটা সমস্যা ছিল। আমাদের কাছে খবর আসার পর ঢাকা নির্বাচন অফিসের অনুবিভাগে যোগাযোগ করে ঠিক করা হয়ে গেছে। যাদের জন্মস্থানে তুরস্ক লেখা ছিল, তারা আবার ডাউনলোড করলে সঠিকভাবে আসবে। দ্বিতীয় বার কপি ডাউনলোড করতে না পারলে আমার অফিসে আসলে বিনামূল্যে দিয়ে দেব।
এর আগে এমন ঘটনা ঘটে মৌলভীবাজার জেলায়। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, সেখানে এক নারীর জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থানের জায়গায় লেখা ছিল ভেনেজুয়েলা।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের তেঘরিয়া এলাকার ঝর্ণা বেগম প্রয়োজনীয় সব কাগজ-পত্র নির্বাচন অফিসে জমা দিয়ে নতুন ভোটার হন। ব্যক্তিগত কাজে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজন হলে অনলাইন থেকে ডাউনলোড করেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। ডাউনলোড করে নিজের জন্মস্থান তুরস্ক দেখে হতবাক হয়ে যান তিনি।
ঝর্ণা বেগমের ভাই মাজহারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় কাজে আমি, ঝর্ণা আপা ও আরেকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করি। অন্যটা ঠিক থাকলেও ঝর্ণা আপার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান লেখা আসে তুরস্ক। এখন ভয়ে আছি, এই কার্ডে সব জায়গায় কাজ করবে কি না। করলেও ভুল তথ্য দিয়ে কাজ চালাতে হবে।
শুধু ঝর্ণা বেগম নন, দোয়ারাবাজার উপজেলার নজরুল হোসেন সাগর, সদর উপজেলার শাখাইতির জাকুয়ান, তামজিদ আহমেদ, আলমপুরের কয়েকজনসহ এমন সমস্যায় পড়েছেন জেলার একাধিক ব্যক্তি। জন্মস্থানে ভুল থাকার কারণে প্রয়োজনীয় কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার নজরুল হোসেন সাগর বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র আগে থেকে ডাউনলোড করা ছিল। কিন্তু ভুলে বাড়িতে রেখে আসি। সুনামগঞ্জে একটি কাজের জন্য আবার ডাউনলোড দিতে গেলে জন্মস্থান তুরস্ক লেখা আসে। পরে আবার সুনামগঞ্জ থেকে দোয়ারাবাজার গিয়ে আগের কার্ড আনতে হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পৌরশহরের পৌর বিপনীস্থ বরাত কম্পিউটার সেন্টারের মো. ইকবাল খান বলেন, আমার দোকানে ইন্টারনেট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে আসা এমন অনেক ব্যক্তি পেয়েছি যাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান তুরস্ক লেখা। তাদের বেশিরভাগ নতুন ভোটার। নতুন কার্ড পেয়ে এমন ভুল দেখে হতাশ তারা। আমি তাদেরকে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।
বিআ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ