জাতীয়
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ফরিদপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামান বাবুল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।
অন্যদিকে সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবীর বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নারায়ণগঞ্জ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইশতিয়াক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজয়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজালাল মিয়া আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাাচিত হয়েছেন।
ব্রাহ্মবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কসবা উপজেলায় ছায়েদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারি একান্ত সচিব রাশেদুল কাউসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।
অন্যদিকে আখাউড়া উপজেলায় মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।
রাঙামাটি
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রিয়াজ উদ্দীন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সজীব কান্তি রুদ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীকে ৭ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট।
রাতে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অপরদিকে বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ফলাফল ঘোষণা করেননি।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকের বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লালমনিরহাট
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই উপজেলায় মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস ও কালীগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর কবির তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।
আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৮টি ভোট
কালীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৫০ ভোট।
পিরোজপুর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুর জেলার দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও কাউখালী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মোট ১২২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুল হক বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
নেছারাবাদ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হক আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মুইদুল ইসলাম মোটরসাইল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫২০ ভোট।
অন্যদিকে কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ঘোড়া প্রতীকে ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৪ ভোট।
বাগেরহাট
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বাগেরহাটে ফকিরহাট, মোল্লাহাট,ও চিতলমারী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ওহিদুজ্জামান বাবু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনরস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাস পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৩৭ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।
চিতলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়াল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৬৩ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৫.৭৫ শতাংশ।
অন্যদিকে মোল্লাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিনুর আলম ছানা। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা শেখ নাসির উদ্দীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৩.৭৭ শতাংশ। জেলায় গড় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৪ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অরবিন্দু বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দু’একটি বিক্ষিপ্ত অভিযোগ ছিল। তবে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়।
যশোর
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছা উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঝিকরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।
সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট।
রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার রাজবংশী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাজশাহী
দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগমারা উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম সান্টু। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৩২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক সরকার ওরফে আর্ট বাবু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২১ ভোট।
পুঠিয়া উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সামাদ মোল্লা। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৯ ভোট।
অন্যদিকে দুর্গাপুর উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ সরদার পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৩২ ভোট।
রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজাদুল হেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাতক্ষীরা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সাতক্ষীরার আশাশুনি, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৭০৭ ভোট।
অপরদিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাচনে মো. আল ফেরদাউস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৫২ ভোট।
এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাচনে ঘোষ সনৎ কুমার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ৪৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার মশিয়ার চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৩ ভোট।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা ও তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
খুলনা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে খুলনার ফুলতলা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৮৪ ভোট।
এদিকে তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখ জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি আবুল হাসান শেখ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ১৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মো. সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৩৮ ভোট।
এ ছাড়া দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শেখ মারুফুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন মল্লিক পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৭৩ ভোট।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এটিএম শামীম মাহমুদ জানান, সুষ্ঠুভাবে খুলনার তিনটি উপজেলার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনার তিন উপজেলায় ৪৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ফুলতলা উপজেলায় ৪১ দশমিক ২৮ শতাংশ, দিঘলিয়া উপজেলায় ৪২ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও তেরখাদা উপজেলায় ৪৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
শরীয়তপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আখন্দ ও জাজিরা উপজেলায় মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী।
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান উজ্জ্বল আখন্দ। উপজেলার ১ লাখ ৯১ হাজার ৭১৮ ভোটারের মধ্যে ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৫৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন কোতোয়াল পেয়েছেন ১৭ হাজার ২৬৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন তালা প্রতীকের শাখাওয়াত হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৬৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের ইকবাল হোসেন পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৬২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ফুটবল প্রতীকের সামিনা ইয়াছমিন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতীকের ফাতেমা আক্তার শিল্পী পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৮ ভোট।
অন্যদিকে জাজিরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী। উপজেলার ১ লাখ ৭৮ হাজার ১৮০ ভোটারের মধ্যে মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলাম রতন পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৫৩ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন চশমা প্রতীকের মহব্বত খান। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের মো. জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৯৭ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ফুটবল প্রতীকের রেখা আক্তার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পদ্মফুল প্রতীকের পারভীন আক্তার পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫০৭ ভোট।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
লক্ষ্মীপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুরে উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। রামগঞ্জে প্রথমবারের মতো জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আরাফাত (আনারস) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া রায়পুরে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ।
ভোটগ্রহণ শেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন। রামগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম ও রায়পুরে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন।
ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, রামগঞ্জে মো. ইমতিয়াজ আরাফাত ৪৪ হাজার ৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চু (মোটরসাইকেল) ২৬ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
এ ছাড়া রায়পুরে মামুনুর রশিদ ৩৬ হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার (মোটরসাইকেল) ৩৩ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।
রংপুর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রথমবার চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক যুবলীগ নেতা মো. কামরুজ্জামান কামরু। হেলিকপ্টার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৫৮ ভোট।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৭ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের নিরঞ্জন মহন্ত এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত শামীমা আক্তার কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮২৬ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি।
অন্যদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ মণ্ডল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মোকাররম হোসেন চৌধুরী জাহাঙ্গীর ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৮১ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১ হাজার ১৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের শফিউর রহমান মণ্ডল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা আকতার। তিনি হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৮১ ভোট।
রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান।
কুমিল্লা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার দুই উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) জেলার বরুড়া ও সদর দক্ষিণ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়। একই ধাপে আদর্শ সদর উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সবাই।
রাতে উপজেলা দুটির সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, বরুড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের শ্যালক হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল। তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এএনএম মইনুল ইসলামকে ৪৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। হামিদ লতিফ ভূইয়া কামাল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৯১ হাজার ১২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এএনএম মইনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১২৩ ভোট।
সদর দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু। তিনি কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের অনুসারী বাহার হারিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই, টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারকে।
বিজয়ী হেলিকপ্টার প্রতীকের আব্দুল হাই বাবলু পেয়েছেন ২০ হাজার ৭৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আক্তারুজ্জামান রিপন। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট। টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বিজয়ী প্রার্থীদের পরে সরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বি এম শোয়েব দোয়াত কলম প্রতীকে ৫৬ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রশিদ শিকদার কাপ পিরিচ প্রতীকে ৩৫ হাজার ৬৫৩ ভোট পেয়েছেন।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত রেজাল্ট শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরিফুল ইসলাম হালদার হেলিকপ্টার ৩৯ হাজার ৯৬৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার কাজী আব্দুল ওয়াহিদ কাপ পিরিচ পেয়েছেন ৩০ হাজার ৪৮৮ ভোট।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী রিটানিং অফিসার মো. আসলাম হোসাইন স্বাক্ষরিত রেজাল্ট শিট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পঞ্চগড়
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে।
নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, বোদা উপজেলায় আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম টবি। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ২৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) হাবীব আল আমিন ফেরদৌস পেয়েছেন ২৩ হাজার ১০৮ ভোট।
মঙ্গলবার রাতে ভোট গণনা শেষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এবং দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার।
বোদা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দেব নারায়ন রায়। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোরসালিন বিন মমতাজ (রিপন) চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৯৮৯ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন লাইলী বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিবুন্নাহার প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৩৭০ ভোট।
আর দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মদন মোহন রায়। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাসনাৎ জামান চৌধুরী (জর্জ) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭০৩ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিপঙ্কর রায় টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫৭৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন দেবীগঞ্জ আওয়ামী লীগের রিতু আকতার।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু সাঈদ বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ ও আনসার ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ছয় প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের দুইটি টিম মাঠে দায়িত্ব পালন করেছে। সবার ঐকান্তিক দায়িত্ব পালনে নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর হয়েছে।
দিনাজপুর
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে দিনাজপুরের বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জ ও বীরগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিরল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একে এম মোস্তাফিজুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রমা কান্ত রায় (মোটরসাইকেল) প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ২২৬ ভোট।
কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন একে এম ফারুক। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৪০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরমান সরকার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ১২ ভোট।
বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবু হুসাইন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৮ ভোট।
বোচাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আফছার আলী। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৩৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪০৮ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় ধাপে চার উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটার উপস্থিতিও ছিল সন্তোষজনক।
সিরাজগঞ্জ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান। দোয়াতকলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৮৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৫৯ ভোট।
অন্যদিকে উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিনা মির্জা মুক্তি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৮৯ হাজার ৯৮ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নবী নেওয়াজ খান বিনু হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ২৩ ভোট।
স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস বেগম পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও ঘাটাইলে আরিফ হোসেন ও কালিহাতীতে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এএসএম সিদ্দিকী ওরফে আজাদ সিদ্দিকী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
আজাদ সিদ্দিকী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের ছোট ভাই।
মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী ফলাফল ঘোষণা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান জানান, টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবি, র্যাব প্রতিটি কেন্দ্রে চার জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়াও তিনটি উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
নোয়াখালী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির। দোয়াতকলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৭৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী জেড এম আজাদ খান পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।
অন্যদিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আ ফ ম বাবুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী মো. মোমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।
এ ছাড়া সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাইফুল ইসলাম দিপু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩২ হাজার ১৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শারমিন আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঝালকাঠি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় আনারস প্রতীক ও নলছিটি উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে ঝালকাঠির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক বেসরকারিভাবে দুই উপজেলার প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি খান আরিফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান খান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন আশিকুর রহমান দিপু লষ্কর ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন উম্মে সালমা।
অন্যদিকে নলছিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৮৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন মনিরুজ্জামান মনির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন আয়শা আক্তার।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুস ছালেক বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে এসে নির্বিঘ্নে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে ঝামেলা হয়নি এবং কোনো কেন্দ্র বন্ধ হয়নি।
বগুড়া
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার (২১ মে) বগুড়ায় কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিম ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
কাহালুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে পুনরায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৬ ভোট।
এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ১০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আব্দুর রশিদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৯৩ ভোট।
প্রজাপতি প্রতীকে ৪৭ হাজার ৫৯৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন আছমা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রওশন আক্তার কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৩ ভোট।
দুপচাঁচিয়ায় উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফজলুল হক প্রামানিক আনারস প্রতীকে ২০ হাজার ৪২৯ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুর রহমান মহলদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক আলম টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ২৭ হাজার ২৫৩টি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাহমিদা আক্তার (হাঁস) ২৯ হাজার ৪৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খাতিজা আক্তার রিতা (প্রজাপতি) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৮৫১ ভোট।
আদমদীঘি উপজেলায় পুনরায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এমপির বাবা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু। তিনি আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ১২৮ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৮ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শাহিনুর রহমান মন্টি চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩৪ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সালমা বেগম হাঁস প্রতীকে ৪৩ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইশরাত জাহান প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৯৮ ভোট।
ঝিনাইদহ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু ও শৈলকূপা উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। হরিণাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম টিপু। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে রানা হামিদ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৯২ ভোট।
অন্যদিকে শৈলকূপা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৭৩ হাজার ৬৭৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৭১ হাজার ৮৮০ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে চশমা প্রতীকের জাহিদুল নবী ৭৫ হাজার ২৭৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম শাকিল আহম্মেদ তালা প্রতীকে ৫০ হাজার ৯২০ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজ নাসরিন লিপি হাঁস প্রতীকে ৭৩ হাজার ৬৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের রাফেজা খাতুন ৫৯ হাজার ৫৬৬ ভোট পেয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেড়েছে, ৫০ শতাংশ হারে ভোট কাস্ট হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিষয় শৈলকূপা উপজেলার মতো সংঘাতপূর্ণ এলাকায় ছোট ছোট কিছু বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি।
বান্দরবান
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তোফাইল আহম্মদ। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. সফিউল্লাহ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৩২ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. কামাল উদ্দিন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিয়াপাখি প্রতীক নিয়ে শাহ জাহান কবির পেয়েছেন ১১ হাজার ৮৭ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সানজিদা আক্তার। কলস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৬১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে হামিদা চৌধুরী পেয়েছেন ৯ হাজার ২৯৫ ভোট।
অন্যদিকে লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোস্তফা জামাল চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের হোসেন মজুমদার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৬ ভোট।
প্রদীপ কান্তি দাশ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুলতানা নাজমা প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। নির্বাচন চলাকালে কোনো ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। রাজারহাট উপজেলায় জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী, উলিপুর উপজেলায় সাজাদুর রহমান তালুকদার ও সদর উপজেলায় মো. মন্জুরুল ইসলাম রতন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজারহাট উপজেলায় বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৩৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু নুর মো. আখতারুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন চশমা প্রতীকের অজয় কুমার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হাঁস প্রতীকের ফারজানা বেগম।
উলিুপর উপজেলায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাজাদুর রহমান তালুকদার। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪৪৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম হোসেন মন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪ ভোট। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু সাইদ এবং কলস প্রতীকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মতি শিউলী।
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মন্জুরুল ইসলাম রতন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তালা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আফরোজা বেগম আলপনা।
স্ব স্ব উপজেলার কন্ট্রোল রুম ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাটোর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নাটোরের বাগাতিপাড়া ও লালপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা এএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৪ হাজার ৬৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসলাম উদ্দিন শালিক প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৪৯ ভোট।
অন্যদিকে লালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে শামীম আহমেদ সাগর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কাপ পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন ঝলফু দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৯৭ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. মাছুদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই দ্বিতীয় ধাপে নাটোরের দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম আনারস প্রতীকে ১৬ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সন্তোষিত চাকমা বকুল দোয়াত কলম প্রতীক পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যউচিং মারমা ১৬ হাজার ২৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কল্যাণি ত্রিপুরা কলস প্রতীক নিয়ে ১৭ হাজার ৪৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
পানছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) সমর্থিত প্রার্থী চন্দ্র দেব চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৪ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিটন চাকমা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৩৫৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈকত চাকমা টিউবওয়েল প্রতীকে ২৪ হাজার ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনিতা ত্রিপুরা ফুটবল প্রতীক নিয়ে ২১ হাজার ২৬৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) সমর্থিত প্রার্থী ধর্ম জোতি চাকমা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ২১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কাশেম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯০৬ ভোট।
দীঘিনালা উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে সুসময় চাকমা চশমা প্রতীকে ৩২ হাজার ৪৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সিমা দেওয়ান কলস প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্ব স্ব উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
চাঁদপুর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চাঁদপুরে তিনটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচনে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. হুমায়ুন কবির। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫০ হাজার ৪৯৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আইউব আলী বেপারী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৫৩ ভোট।
হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন মিয়াজী (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাপ্ত ভোট ২৬ হাজার ৫৮৮। তার নিকটতম প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. জসিম উদ্দিন (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট। অপর প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান মজুমদার (ঘোড়া) ১ হাজার ৩০ ভোট পেয়েছেন।
শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঘোড়া প্রতীকের মুকবুল হোসেন। ৩২ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনসার প্রতীকের ওমর ফারুক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৮ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
নেত্রকোণা
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নেত্রকোণা সদরে মো. মারুফ হাসান খান অভ্র, বারহাট্রায় কাজী শাখাওয়াত হোসেন ও পূর্বধলায় উপজেলায় এ টি এম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতদের মধ্যে সদর উপজেলায় মারুফ হাসান খান অভ্র হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে ৩৮ হাজার ৩৫৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম হোসেন খান পাঠান বিমল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৩৯৪ ভোট।
বারহাট্টা উপজেলায় কাজী শাখাওয়াত হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪২ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খায়রুল কবীর খোকন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৯২৯ ভোট।
এ ছাড়া পূর্বধলায় এ টি এম ফয়জুর সিরাজ জুয়েল মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪৬ হাজার ৩২২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৮ ভোট।
সিলেট
দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের তিনটি উপজেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন উপজেলায় ৩৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন।
সিলেটের জৈন্তাপুরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৯০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আব্দুল গফফার কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ১০ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাহাদ উদ্দিন। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ২৩ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাওলানা কবির আহমদ। তিনি চশমা প্রতীকে ১৫ হাজার ১৪২ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. সুনারা বেগম। তিনি কলস প্রতীকে ২৭ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা. পারভীন আক্তার। তিনি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৭৪২ ভোট।
গোয়াইনঘাটে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত (কোষাধ্যক্ষ) শাহ আলম স্বপন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৬৭ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুতুবউদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭০০ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খোদেজা রহিম কলি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৬৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মরিয়ম বেগম কলস প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১২৫ ভোট।
কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মজির উদ্দিন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ শামীম। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ২১৩ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. লাল মিয়া। তিনি চশমা প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ১২২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইকবাল হোসেন। তিনি মাইক প্রতীকে ১৮ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আয়শা বেগম। তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ২৭ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসিরন জাহান হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৪৩২ ভোট।
স্ব স্ব উপজেলায় ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ৯ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজবাড়ী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ী সদর,বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে তিন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নওয়াব আলী। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৩ হাজার ১১১ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পিয়াল ১৮ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাহিদুল আলম রাজু গ্যাস সিলিন্ডার প্রতীকে ১৯ হাজার ৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লুৎফুন নাহার ফুটবল প্রতীকে ১৪ হাজার ৬০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অন্যদিকে গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোস্তফা মুন্সি। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৭৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৬১৬ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী। টিয়া পাখি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৯ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. আফরোজা রাববানী কলস প্রতীকে ১৫ হাজার ৮৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়াও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন এহসানুল হাকিম সাধন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪২ হাজার ৬৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৬৮০ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মনিরুজ্জামান মনির তালা প্রতীকে ৩১ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে খোদেজা বেগম হাঁস প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. মোরশেদা খাতুন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজবাড়ীর তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মানিকগঞ্জের তিনটি উপজেলা শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে।
শিবালয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩২ হাজার ৫৮৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবদুর রহমি খান (দোয়াত কলম প্রতীক)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৬৬ ভোট। আর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৭৫ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৫ হাজার ৯৭৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন আলী আহসান মিঠু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লালন ফরিক পেয়েছেন ২০ হাজার ৬৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ হাজার ৮১৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন রুনা আক্তার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাইশা হোসেন তামান্না পেয়েছেন ১৯ হাজার ১২০ ভোট।
ঘিওর উপজেলায় প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান পদে ২১ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হামিদুর রহমান পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৯৬ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৮ হাজার ৩২৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন আবদুল আলিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিটন কুমার আইচ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯২ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ হাজার ৩০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তাঞ্জিয়া খন্দকার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সালমা সিদ্দিক পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৬৩ ভোট।
অপরদিকে দৌলতপুর উপজেলায় প্রথমবারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২২ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শফিকুল ইসলাম শফিক। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৪১ ভোট।
কুষ্টিয়া
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
কুমারখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মান্নান খান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০ হাজার ৯১০ ভোট। মান্নান খান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুইবারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম জিলানী পিটার পেয়েছেন ৪২ হাজার ২৭৯ ভোট।
অন্যদিকে দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৭ হাজার ২৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৮৬ ভোট।
মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭১ হাজার ৫১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৩৪০ ভোট।
ভেড়ামারা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আক্তারুজ্জামান মিঠু তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মুকুল ভেড়ামারা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুল ওয়াদুদ বলেন, কুষ্টিয়ার চার উপজেলায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থীর অভিযোগ নেই। নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কিশোরগঞ্জ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে কিশোরগঞ্জের তিন উপজেলার ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোট গণনা শেষে তিন উপজেলায় তিন জনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ তাদের জয়ী ঘোষণা করেন।
কটিয়াদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মঈনুজ্জামান অপু (ঘোড়া প্রতীক) ৪৩ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলী আকবর (দোয়াত কলম প্রতীক) ১৮ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদরুল আলম নাঈম (চশমা প্রতীকে) ৪৩ হাজার ৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম (কলস প্রতীক) ৩৮ হাজার ৭৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
নিকলী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী নির্বাচন করেছেন। এর মধ্যে মোকারিম সর্দার (আনারস প্রতীক) ৩৬ হাজার ১৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা জনি (মোটরসাইকেল প্রতীক) ৩১ হাজার ৫৭ ভোট পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. তাহের আলী (টিউবওয়েল প্রতীক) ২২ হাজার ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন আরা বিউটি (হাঁস প্রতীক) ৩৮ হাজার ১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
অষ্টগ্রাম উপজেলায় এএফ মাশুক নাজিম (ঘোড়া প্রতীক) ৪২ হাজার ৫৫১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমসের (কাপ-পিরিচ প্রতীক) পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭০৬ ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আল আমিন সরকার (চশমা প্রতীক) ২১ হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. শেলী আক্তার (হাঁস প্রতীক) ২৫ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
জয়পুরহাট
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় হাসানুজ্জামান মিঠু ও পাঁচবিবি উপজেলায় সাবেকুন নাহার ওরফে শিখা বিজয়ী হয়েছেন। জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স রুমে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিপুল কুমার বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সদর উপজেলায় হাসানুজ্জামান মিঠু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৪৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী এ ই এম মাসুদ রেজা পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৯৮৫ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে অশোক ঠাকুর ২৩ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৪৯৬ ভোট পেয়ে হাঁস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন আছমা বিবি।
অপরদিকে পাঁচবিবি উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে সাবেকুন নাহার পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৩০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল শহীদ মন্ডল মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১১ হাজার ৮০০ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আকরাম হোসেন তালুকদার তালা প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩২ হাজার ৪১৫ ভোট পেয়ে ফুটবল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেবেকা সুলতানা।
গাইবান্ধা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধা জেলার সদর, পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আমিনুর জামান রিংকু। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী ইস্তেকুর রহমান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৪৪ ভোট।
পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৌহিদুল ইসলাম দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৪ ভোট।
অপরদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে শাকিল আকন্দ বুলবুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯০ হাজার ১৭৭ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১১৪ ভোট।
ভোট গণনা শেষে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহমেদ।
নরসিংদী
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে নরসিংদীর মনোহরদীতে নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ও বেলাবতে সমসের জামান ভূইয়া রিটন চেয়ারম্যান হিসেবে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
বেলাব উপজেলায় ১১ হাজার ১১৩ ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান হিসেবে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন সমসের জামান ভূঁইয়া রিটন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩০ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফ উদ্দিন খান মোমেন কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৩ভোট।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. হুমায়ুন কবির চশমা প্রতীক নিয়ে ১৯ হাজার ৮৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক প্রতীকের মো. ইমদাদুল হক পান ১৬ হাজার ৯৮৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীক নিয়ে নাজমুন্নাহার আমিনা ২৫ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোসা. রহিমা বেগম সেলাই মেশিন প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৫৯৬ ভোট।
মনোহরদীতে বেসরকারি ফলাফলে ২২ হাজার ৯০৮ ভোটের ব্যবধানে নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ৩৩ হাজার ৮১৯ ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফজলুল হক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১১ ভোট।
নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. তৌহিদ সরকার মাইক প্রতীকে ১৪ হাজার ১৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল কাদির মৃধা বই প্রতীকে পান ১১ হাজার ৪৭৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহনাজ পারভীন হাঁস প্রতীক নিয়ে ২৪ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আফরোজা সুলতানা রুনী প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছে ১৫ হাজার ৮০৬ ভোট।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ