এশিয়া
গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ: মধ্যস্থতার ভূমিকা থেকে সরে আসার হুমকির মিসরের
৭ মাস ধরে চলা গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে চলা যুদ্ধে প্রায় শুরু থেকে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র— তিন দেশ; কিন্তু অতিসম্প্রতি মিসর এই ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক সংবাদের প্রতিবাদে এই হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এই দেশটি। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য মিসরের গোয়েন্দা বিভাগ যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্তে ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন এনে চুক্তির বিকৃতি ঘটিয়েছে।
এই দাবির প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক বার্তায় মিসরের সরকারি তথ্য পরিষেবা বিভাগের প্রধান দিয়া রাশওয়ান বলেন, ‘মিসরের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টায় সংশয় করা কিংবা একে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হলে তা গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে তো বটেই, উপরন্তু (এমন করা হলে) মিসর পুরো সংকট থেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।’
গেলো মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সংলাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে হয়েছে, সম্প্রতি হামাস যে যুদ্ধবিরতির খসড়া চুক্তিটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে— সেটি মূল চুক্তি নয়। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিসরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে যেসব শর্ত খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটির বিকৃতি ঘটিয়েছেন মিসরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা, তারপর সেটি হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে, এই খবর ‘ফাঁস’ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের কমকর্তারা মিসরের প্রতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন, দোষারোপ করেছিলেন এবং গোটা শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে।
এ ব্যাপারে মন্তব্য চেয়ে মার্কিন শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সিএনএন। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।
শুক্রবারের বার্তায় দিয়া রাশওয়ান বলেন, ‘কিছু মহল মিসরের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে। যারা এসব করছে, তারা জানে না যে মিসর কিন্তু এই যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে, নিজের ইচ্ছেয় নয়।’
গেলো ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামি জিহাদের ১ হাজারের বেশি সশস্ত্র সেনা। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যো করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
অতর্কিত সেই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। চলমান সেই অভিযানে গেলো ৭ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৯ হাজার। হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
টিআর/
এশিয়া
জাপানে ৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৩ মিনিটের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান দ্বীপ কিয়ুশুর মিয়াজাকি অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থার (জেএমএ) বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এ তথ্য জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর দেশটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মিয়াজাকিতে সমুদ্রের ঢেউ ইতোমধ্যে ৫০ সেন্টিমিটারে পৌঁছেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের মুখ্য সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমিকম্পের পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোতে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনা দেখা যায়নি। সরকার ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জাপানে ভূমিকম্পের ঘটনা একেবারে সাধারণ। বিশ্বে ৬ বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় এক-পঞ্চমাংশই এদেশে ঘটে থাকে।
এর আগে, ২০১১ সালের ১১ মার্চ দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। যেটি ছিলো জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই সময় ভূমিকম্পের পর দেশটিতে বিশাল সুনামি আঘাত হানে।
সূত্র: রয়টার্স
জিএমএম/
এশিয়া
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর যা বললেন পুতুল
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। দেশে গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে মায়ের পদত্যাগ ও দেশত্যাগ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। জানিয়েছেন তার প্রতিক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ বিষয়ে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমার দেশ বাংলাদেশ যাকে আমি ভালোবাসি, সেখানে প্রাণহানির ঘটনায় হৃদয় ভেঙে গেছে। আরও হৃদয়বিদারক যে, আমি এই কঠিন সময়ে আমার মাকে দেখতে ও আলিঙ্গন করতে পারিনি। আমি আরডি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
জিএমএম/
এশিয়া
ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। জানিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। এ ব্যাপারে রাজ্যের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যেভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, তা খুবই দৃষ্টিকটুভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক এবং ভারতের প্রেস কাউন্সিলের নিয়মাবলীর পরিপন্থী। দর্শকদের অনুরোধ, এই ধরনের কভারেজ দেখার সময় নিজস্ব বিচারবিবেচনা প্রয়োগ করুন এবং মাথায় রাখুন যে, চ্যানেলের দেখানো ফুটেজের সত্যতা কিন্তু কোনও নিরপেক্ষ তৃতীয় সংস্থা দিয়ে যাচাই করা নয়। একতরফা বিদ্বেষমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রচারের ফাঁদে পা দেবেন না। শান্ত থাকুন, শান্তি বজায় রাখুন।
সোমবার (৫ আগস্ট) পদত্যাগ করে ভারত চলে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার মিথ্যা তথ্য ছড়ানো শুরু করে।
এমনকি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় লিটন দাসের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে খবর বের হয়। পরে জানা যায়, মাশরাফির বাড়িতে হামলার ভিডিও ব্যবহার করে সেটি লিটন দাসের বাড়ি বলে গুজব ছড়ানো হয়েছে।
জিএমএম/