আওয়ামী লীগ
এমপি আজিম অপরাধী হলে কেনো সংবাদ প্রচার হলো না: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার যদি অপরাধী হয়ে থাকেন তাহলে সাংবাদিকরা কেনো তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করল না। বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নবগঠিত যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্যদের পরিচিতি সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য মারা গিয়েছেন। তিনি কী ছিলেন, সেটা বড় কথা না। তিনি তার এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। মোটরসাইকেলে করে সারা এলাকা ঘুরে বেড়াতেন। তার জনপ্রিয়তার জন্য তাকে তিনবার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার ভেতরে কোনো সমস্যা আছে কিনা সেটা তো আমরা জানতাম না। ভারতীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্য আনলো সেটা আপনারা কেন উদ্বৃতি দিচ্ছেন? আজিম যদি অপরাধী হন তাহলে সাংবাদিকরা কেনো তাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার করল না।’
এমপি আনার কোনো অপকর্মে জড়িত থাকলে তা তদন্তে বের হয়ে আসবে। ভারতের গণমাধ্যমে এসেছে চোরাচালানের কথা। তার মৃত্যুর আগে দেশের কোনো সাংবাদিক কি তাকে নিয়ে এসব রিপোর্ট করেছিলেন, প্রশ্ন করেন কাদের।
দেশের ক্রিড়াঙ্গন নিয়ে তিনি বলেন, আমার সময়েই প্রথম ফুটবলে সাব গেমসে গোল্ড পেয়েছিল বাংলাদেশ। নেপালকে ১-০ তে পরাজিত করে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ক্রিকেটেও আমি যখন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তখন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেয়েছিল। দুইটা বিজয় এসেছিল, স্কটল্যান্ডের সঙ্গে, আরেকটি পাকিস্তানের সঙ্গে। বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা পেয়েছিল। সেসময় প্রতিবন্ধীরাও ২০টি পদক জিতেছিল। মালদ্বীপের কাছে যখন বাংলাদেশ হারে তখন খুব লজ্জা করে। এর মধ্যে আমাদের মেয়েরা যে সাফল্য নিয়ে এসেছে সেটা আমাদের জন্য গর্বের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত ক্রীড়াবান্ধব। মেয়েরা ভালো করলে তার মধ্যে যে উচ্ছ্বাস সেটা আমরা খেয়াল করি।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সি ইজ সো ট্যালেন্টেড, সি ইজ সো ব্রিলিয়ান্ট। তার শাসনামলে যদি আমরা ক্রীড়াঙ্গনে সফল হতে না পারি তাহলে কীভাবে হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সকলের চেয়ে ডায়নামিক।
যানজট নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, এয়ারপোর্ট গিয়ে অনেকে ফ্লাইট মিস করতো যানজটের কারণে। এখন ফার্মগেট থেকে এয়ারপোর্ট ১০ মিনিট সময় লাগে। সময়মতো এখন এয়ারপোর্ট পৌঁছানো যায়। আমার মাথার ওপর প্রধানমন্ত্রীর হাত এবং ছায়া না থাকলে কখনোই আমি এসব করতে পারতাম না।
মাশরাফীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মাশরাফী খুব যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে এসেছেন। সুদক্ষ ও লম্বা, চড়া তিনি। মাশরাফীকে এই কমিটির সদস্য বানানোর মূল লক্ষ্য ছিল ক্রীড়াঙ্গনকে উৎসাহ দেয়া। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য আমার যে কমিটমেন্ট সেটা এখনো আছে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বাকশালের ৭১তম সদস্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টে যদি জিয়াউর রহমান জড়িত না থাকতো তাহলে কিলারদের নিরাপদে কে পাঠালো, তাদের চাকরি কারা দিয়েছে? খুনিদের বাঁচাতে পঞ্চম সংশোধনী কেনো এনেছিলেন জিয়া?
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অর্থপাচারের জন্য আপনারা প্রতিষ্ঠিত আসামি। অর্থপাচার সিঙ্গাপুর, আমেরিকায় কে করেছে? তারেক-কোকোর পাচার করা একটি অংশ সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিজেরা যেই অপরাধের অপরাধী তা ছাত্রলীগ, যুবলীগের ওপর চাপায়।
এসি//
আওয়ামী লীগ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে নতুন বার্তা দিলেন জয়
এবার শেখ হাসিনার দেশের ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন জয়। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিলেই দেশে ফিরবেন শেখ হাসিনা। তবে ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি অংশগ্রহণ করবেন কিনা সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেননি সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব কথা বলেন তিনি।
জয় বলেন, রাজনীতি নিয়ে তার কখনওই উচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল না। কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দলের প্রয়োজনে তাকে সক্রিয় হতে হবে এবং সামনের সারিতে থেকেই কাজ করবেন।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে তার ছেলে জয় বিবিসিকে জানিয়েছিলেন “ মা আর দেশে ফিরবে না এবং রাজনীতি করবেন না”।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের চলমান সংকট সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় : জয়
আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় গণতান্ত্রিক দল। আওয়ামী লীগ কিন্তু মরে যায়নি। আওয়ামী লীগ এই দেশকে স্বাধীন করেছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার (৭ আগস্ট) নিজের ফেসবুক আইডিতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে এখন একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে উল্ল্যেখ করে জয় বলেন, সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। শহরের বাইরে আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চলছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না। বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হয়, আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় দল। আওয়ামী লীগ কোথাও যাবে না।”
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা সবাই সাহস নিয়ে দাঁড়ান, আমরা আছি। বঙ্গবন্ধুর পরিবার কোথাও যায়নি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। দেশকে, আমাদের নেতা-কর্মীদের এবং আওয়ামী লীগকে রক্ষা করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করতে প্রস্তুত।’
বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের বর্তমানে যারাই আছেন ক্ষমতায় তাঁদের আমি বলব, আমরাও একটি গণতান্ত্রিক, সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ দেশ চাই, জঙ্গিবাদ মুক্ত। তার জন্য আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শুধু তারা যদি জঙ্গিবাদ, ভায়োলেন্স (সহিংসতা) বাদ দেন। শেখ হাসিনা মরে যাননি। আমরা কোথাও যাইনি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া গণতন্ত্র, নির্বাচন সম্ভব না।’
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ধৈর্য্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয় : নানক
সরকার পতনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে হত্যা ও ধ্বংস চালাতে চায় এবং দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই বিএনপি, জামায়াত-শিবির জঙ্গির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে আমরা ধৈর্যের শেষ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। ধৈর্য, সহনশীলতা মানে দুর্বলতা নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি৷
নানক বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবেন না। আমরা সংঘাত চাই না। শান্তি চাই। সকলকে দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমরা মোকাবিলা করব। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যে যেখানে আছেন, দেশবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নির্মূল করতে হবে। আমাদের শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এই আস্ফালন সহ্য করব না। গণতন্ত্র সংবিধান রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
এএম/